চীনের হুবেই প্রদেশের ইচং শহরে একটি ইউনিভার্সিটির ১৭২ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর খাদ্য সংকট নেই বলে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের বরাদ দিয়ে জানিয়েছে বেজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস। শনিবার চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।
মাহবুব উজ জামান জানান, চীনের থ্রি জর্জ ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস অ্যাফের্য়াস বিভাগের সমন্বয়ক লি খের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে। লি জানিয়েছেন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বেজিং দূতাবাস থেকে কুরিয়ার করে থ্রি জর্জ ইউনিভার্সিটিতে খাবার সরবরাহ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। তবে তিনি জানিয়েছেন সেখানে কোন খাদ্য সংকট নেই।
লি খে জানান, ইউনিভার্সিটিতে গম, চাল, তেল, মরিচ, মসলা, চিনি, লবণ ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পানির জার দেয়া হয়েছে। সেই এলাকার কিছু দোকানপাটও খুলেছে। ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিন অনলাইনে খাবার সরবরাহ করছে।
মাহবুব উজ জামান জানান, দূতাবাস চাইলেই নিজস্বভাবে সেখান থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফেরাতে পারে না। কেননা ফেরানোর জন্য সেখানকার অনেক কর্তৃপক্ষের সমন্বয় ও যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন বলেছেন, চীনের উহানে থাকা ১৭১ জন বাংলাদেশিকে আনতে বাংলাদেশ বিমানের কোনো উড়োজাহাজ ও ক্রুকে দেশটিতে পাঠানো যাচ্ছে না। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল থেকে বাংলাদেশিদের আনা এ মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে হটলাইন চালু
উহানে থাকা বাংলাদেশিদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের খাওয়াদাওয়া সব চীনারা নিশ্চিত করছে। চীনের একজন উপনেতাকে তাদের জন্য যুক্ত করা হয়েছে। তারা ২৩টি জায়গায় থাকেন। একেকটি জায়গায় লোক নিয়োগ করা হয়েছে। খাবার-দাবার, পানীয়সহ তাদের সবকিছু যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কেউ যদি বলে থাকেন খাবার পান না, এটা ঠিক না।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস : চিকিৎসা কী?
বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস কী করছে? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দূতাবাস যোগাযোগ রাখছে। নিয়মিত তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। ৩৮৪ জনের একটি গ্রুপ করা হয়েছে উইচ্যাটে। তাদের বলেছি, ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে চাইনিজরা যখন বলবে, তখন তোমরা আসো। সরকার যদি ওদের পয়সা দিয়ে না আনে, তবে এদের ৮০ শতাংশই আসবে না। বাকিগুলো থেকে যাবে। সরকার বিনে পয়সায় নিয়ে আসে, সে জন্য তাদের আরেকটু উৎসাহ আছে। তারা এখানে আসলে ভালো হয়ে যাবে, এটা ঠিক না।’