ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিল ও স্লোগান। গতকাল রোববার দুই পক্ষের মধ্যে এ উত্তেজনার কারণে চট্টগ্রাম কলেজের শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। দুপুর সোয়া ১২টার পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার বলেন, ‘দুই পক্ষের অবস্থান ও উত্তেজনার কারণে দুপুর সোয়া ১২টার পর আর কোনো ক্লাস হয়নি। আমরা শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দিই।’
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার নগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফারুক ইসলামের অস্থায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম কলেজ সড়ক অবরোধ করেন তাঁর ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নুরুল মোস্তফা ওরফে টিনুর অনুসারীরা। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগের নেতা মাহমুদুল করিম ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে অবরোধকারীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সকালে মাহমুদুল করিমের নেতৃত্বে মানববন্ধন করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে আছেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ফরমান আহমেদ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের নেতা মিনহাজ উদ্দিন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মানববন্ধন শুরুর আগেই সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে দুই পক্ষ অবস্থান নেয়। এ সময় কিছু বহিরাগতকেও দেখা যায়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে কলেজের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়াতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয় এবং ব্যানার কেড়ে নেয়। পরে মাহমুদুল করিমের পক্ষটি কলেজের মূল ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। অন্যদিকে বাইরের সড়কে মিছিল করে অপর পক্ষ। একপর্যায়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে ক্যাম্পাসে অবস্থানকারীরা বাইরে চলে যায়। এর আগে ক্যাম্পাস থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাসায় চলে যাওয়ার অনুরোধ জানায় পুলিশ।ঘটনাস্থলে থাকা চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজ আহমেদ বলেন, সামান্য ঘটনা নিয়ে এক পক্ষ মানববন্ধনের ডাক দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ অবস্থায় নিরাপত্তার খাতিরে মানববন্ধন করতে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি সবাইকে ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বলা হয়।
একইভাবে পুলিশ পাশের মহসিন কলেজ থেকেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়। কারণ, উত্তেজনা চলাকালে মহসিন কলেজের কিছু ছাত্র এসে চট্টগ্রাম কলেজের মানববন্ধন-ইচ্ছুক কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হন। তবে মহসিন কলেজে শ্রেণি কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে জানান কলেজ অধ্যক্ষ অঞ্জন নন্দী।