যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) একজন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও হয়রানির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কর্মচারী মো. রাকিব রহমানকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের সই করা এক অফিস আদেশে ওই কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।
ঘটনার সত্যতা যাচাই কমিটির আহ্বায়ক হলেন, যবিপ্রবির শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের একজন নারী সদস্য ও যবিপ্রবির কর্মচারী সমিতির সভাপতি (পর্যবেক্ষক সদস্য)। কমিটির সদস্য-সচিব করা হয়েছে যবিপ্রবির উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ এমদাদুল হককে। এই কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া এই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকার সময় ওই কর্মচারী যদি অভিযোগ দায়েরকারী ছাত্রীকে কোনোভাবে হয়রানি বা উত্ত্যক্ত করে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে। অভিযোগকারী ছাত্রী যেন সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ জন্য তাঁর নাম ও বিভাগের নাম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হলো না।