জবির সাবেক কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

জবির সাবেক কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

জবি প্রতিনিধি |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কোষাধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়ার ১৭ অক্টোবর ২০১৯ দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব শেষ হলেও এখনো নতুন কাউকে নিয়োগ না দেয়ায় দপ্তরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংশ্লিষ্ট সব ধরনের অফিস ফাইল আটকে আছে। এমনকি আগামী মাসে বেতন ঠিক সময়ে পাবেন কি না এ নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মো. সেলিম ভুঁইয়াকে তৃতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেতে শিক্ষা মন্ত্রণালায়, গণভবন ও বঙ্গভবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সব ধরনের তদবির করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে সাবেক এ কোষাধ্যক্ষের নামে অভিযোগ থাকায় তাকে তৃতীয় মেয়াদে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মানতে নারাজ অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্য থেকে ঐ পদে নিয়োগ দেয়ার দাবিসহ পাঁচ দফা জানান। এদিকে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাবেক কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। এ বলয়ে নির্দিষ্ট কিছু লোক পদ-পদবি থেকে শুরু করে সব ধরনের অবৈধ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। সাবেক এ কোষাধ্যক্ষ নানা অনিয়মই নিয়মে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে তিনি অবৈতনিক কর্মকর্তা হলেও নিয়মিত নিজস্ব অর্থ ভোগ বণ্টন করছেন। চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে অনিয়ম করে একই দপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেছেন। অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও একজন চুক্তিভিত্তিক আইটি কনসালট্যান্টকে সরাসরি প্রোগ্রামার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনের টাকা নিজ আত্মীয়ের একটি বেসরকারি ব্যাংকের ডেমরা শাখায় একাউন্টে রেখে সুবিধা ভোগ করেছেন। টেন্ডার ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরাদ্দকৃত গাড়ি ব্যবহার করে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন সেবা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ সদ্য সাবেক এ কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম অনুযায়ী কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিন জন শিক্ষকের নাম পাঠাতে হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু কোষাধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়ার নাম পাঠানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষকের চাকরির সময়সীমা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একজন শিক্ষকের নাম পাঠানোয় সেই চিঠি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত পাঠিয়ে তিন জন শিক্ষকের নাম পাঠাতে বলা হয়। দ্বিতীয় দফায় কোষাধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়াসহ আরো দুই জনের নাম পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযোগ আছে, টেন্ডার ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ, ক্যাফেটিরিয়া, এডমিশন সার্ভারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের কাজ করেছেন। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অচল করে নিজেই সব কাজ করেছেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে উলটো ধমক দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান জানান, টেন্ডারের কিছু বিষয় আছে যেগুলো অল্প অল্প করে কাজ করলে টেন্ডারের প্রয়োজন পড়ে না। এক বাজেটে টাইলস অন্য বাজেটে কর্মচারীদের বেতন এভাবে আলাদা করলে টেন্ডার প্রয়োজন হয় না। পরবর্তীতে তিনি জানান, নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পে সেলিম ভুঁইয়ার অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার বিষয় আংশিক সত্য।

সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ - dainik shiksha শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030820369720459