জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের "দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২০ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বাংলা গবেষণা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র খ্যাতিমান অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজ (কলকাতা), প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
শিল্পকলাবিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা যামিনী এবং বাংলা সাহিত্যের মাসিকপত্র কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন এই গবেষক। ১৯৬১ সালে রবীন্দ ্রজন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
তিনি ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযু"ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন।
শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি একাধিক পুরসড়ার লাভ করেন। প্রবন্ গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরসড়ার পান।