জাতীয়করণের জটিলতায় লক্ষাধিক শিক্ষক - দৈনিকশিক্ষা

জাতীয়করণের জটিলতায় লক্ষাধিক শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পাঁচবছরেও নানা জটিলতা থেকে মুক্তি পাননি জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বরং এক জটিলতা দূর হলে ফের আটকে পড়ছেন গ্যাঁড়াকলে। সর্বশেষ চাকরির অভিজ্ঞতা গণনা, জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরি এবং আর্থিক সুবিধা দেয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে লক্ষাধিক শিক্ষকের পদোন্নতি, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রাপ্তি এবং টাইম স্কেল আটকে গেছে।

বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এরপর ৫ বছর কেটে গেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত জাতীয়করণের গোটা কাজ শেষ হয়নি। আবার এখন পর্যন্ত যে আংশিক স্কুল ও স্কুলের শিক্ষকের চাকরি সরকারি হয়েছে তাদের বারবার আমলাতান্ত্রিক মারপ্যাঁচে ফেলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি চক্র প্রধানমন্ত্রীর ভালো কাজের সুফল নষ্ট করার চক্রান্তে লিপ্ত আছে। জানা গেছে, সর্বশেষ জাতীয়করণকৃত শিক্ষকরা দুই সমস্যায় পড়ে আছেন। এর একটি হচ্ছে, প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষকের প্রাপ্য টাইম স্কেল আটকে রাখা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ের সরকারি আদেশ ও পরিপত্রের ভুল ও অপব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি রাজশাহীর বিভাগীয় কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস অফিস থেকে মহা হিসাব নিরীক্ষকের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তাতে জাতীয়করণকৃত প্রধান শিক্ষকদের পদ ২০০৮ সালে সৃষ্টি বলে উল্লেখ করা হয়। অপরটি হচ্ছে, সহকারী শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার তালিকা। এক্ষেত্রে তাদের চাকরিকাল জাতীয়করণের তারিখ থেকে ধরছে ডিপিই। মূলত পুরনো সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেয়ার লক্ষ্যেই এমন বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। এই দুই সমস্যা তৈরির ফলে লক্ষাধিক শিক্ষক আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা বলছেন, রাজশাহীর উল্লিখিত চিঠিতে প্রধান শিক্ষকদের বিষয়টি ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কেননা, ২০১৩ সালের স্কুল অধিগ্রহণ বিধিমালায় মোট চাকরিকালের অর্ধেক সময় গণনার কথা বলা হয়েছে।

বিধিমালার কোথাও অধিগ্রহণের তারিখ থেকে চাকরির কার্যকর চাকরিকাল গণনার কথা নেই। দ্বিতীয়ত, প্রাথমিক স্কুল যখন যেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখন থেকেই প্রধান শিক্ষকের পদ ছিল। এ কারণেই ইতিমধ্যে জাতীয়করণকৃত প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে ৮০ শতাংশই টাইম স্কেল ও ইনক্রিমেন্টসহ সব সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু রাজশাহীর চিঠিতে ২০০৮ সালের কথা ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

শিক্ষক নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, গতবছরের নভেম্বরে সরকার প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নন গেজেটেড পদমর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে। এরপর প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলে বেতন নির্ধারণ, সহকারী ও প্রধান শিক্ষকদের গ্রেডেশন ও টাইম স্কেল দেয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই শুরু হয়েছে নতুন চক্রান্ত। তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড মর্যাদা দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক বাধায় প্রায় পৌনে ৪ বছর আটকে রেখে নন গেজেটেড মর্যাদায় দেয়া হয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শিক্ষকরা সেটি মেনে নেন। কিন্তু এখন একটি স্বার্থান্বেষী মহলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে মাঠপ্রশাসনের কিছু দুষ্টু ব্যক্তি জাতীয়করণকৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) একশ্রেণীর কর্মকর্তাও আছেন। কেননা, তারা যদি ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো গ্রেডেশন নিষ্পত্তি ও বকেয়া টাইম স্কেল প্রাপ্তির চিঠি এনডোর্স করে সারা দেশে পাঠিয়ে দিতেন, তাহলে উপজেলা-জেলা শিক্ষা ও হিসাবরক্ষণ অফিস নতুন জটিলতা তৈরি করতে পারত না।

এই শিক্ষক নেতা বলেন, যদি ডিপিই এবং মাঠপর্যায়ের শিক্ষা ও হিসাবরক্ষণ অফিস ষড়যন্ত্রের পথ থেকে সরে না আসে, তাহলে তারা রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে মামলা করতে বাধ্য হবেন শিক্ষকরা।

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033230781555176