জাতীয় পতাকার আদলে কেক: অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবী   - দৈনিকশিক্ষা

জাতীয় পতাকার আদলে কেক: অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবী  

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাতীয় পতাকার আদলে কেক বানিয়ে পতাকাকে অবমাননা করায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন বেসরকারি শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পরও কেন তদন্ত কমিটি করছে না মন্ত্রণালয় তা জানতে চান শিক্ষকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিকশিক্ষাকে জানান, রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ৪৬ কেজি ওজনের জাতীয় পতাকা সদৃশ কেক বানানো হয়। ওই কেক দেখে শিক্ষামন্ত্রী ক্ষুব্ধ হন। দৈনিকশিক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। দৈনিকশিক্ষার সাংবাদিকদের তোলা ছবিটিই সারাদেশের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ হয়। জাতীয় পতাকার এমন অবমাননায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সারাদেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষক নেতা মো: নজরুল ইসলাম রনি বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, জাতীয় পতাকার অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সবাই বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের। অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তা। জাতীয় পতাকার আদলে কেক দেখে ওই কেক না কাটার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছেন মর্মে আমরা জানতে পেরেছি দৈনিক শিক্ষার প্রতিবেদনে। মন্ত্রী ক্ষুব্ধ হওয়ার পরও কীভাবে তবিয়তে বহাল থাকেন অভিযুক্ত কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল বাশার বলেন, যদি এই ঘটনা কোনো এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক ঘটাতেন তাহলে এতক্ষণে তাকে হয় জেলে নয়তে এমপিও  স্থগিত করা হতো। কিন্তু বি সি এস শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত হওয়ায় স্বজনপ্রীতি করছেন অধিদপ্তরের কর্তারা।

জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে গঠিত মূল কমিটির উপদেষ্টা মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো: আলমগীর হোসেন বিশেষ অতিথি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ মূখ্য আলোচক ছিলেন। অনুষ্ঠানে ‘স্বাধীনতা কি করে আমাদর হলো’ শিরোনামে প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শন হয়। ঢাকা শহরের সব সরকারি কলেজের অধ্যক্ষরাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে জাতীয় পতাকার আদলে কেক বানানোর ঘটনায় প্রকৃত দোষী কামাল উদ্দিন হায়দার ও খোরশেদ আলমকে বাঁচাতে  শিবিরপন্থী সংবাদকর্মীরা একটি গোপন বৈঠক করেছে অধিদপ্তরে। এতে অধিদপ্তরের অপর একজন নারী কর্মকর্তার ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করার  উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই সংবাদকর্মীরা তাদের পছন্দে নতুন যোগদানকারী অপর একজন সহকারী পরিচালককে সামনে আনার চেষ্টা করছেন। তারা ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত জামাতপন্থী একজন অতিরিক্ত সচিবের কাছে এই মর্মে সুপারিশ করেছেন যে, ‘কামাল খুব ভালো।’

আরও পড়ুন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা সদৃশ কেক!

চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি - dainik shiksha পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.006227970123291