নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক জাল নিবন্ধন সনদ দিয়ে তথ্য গোপন করে চাকরি করছেন। নিয়োগের ছয় বছর তাদের এ জালিয়াতি ধরা পড়েছে সনদ যাচাই প্রতিবেদনে। তারা স্কুলটিতে নন-এমপিও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেও পরে এমপিওভুক্ত হয়েছিলেন। জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়েই ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এমপিওভোগ করছেন তারা। সম্প্রতি সনদ যাচাইয়ে ধরা পড়েছেন এ দুই শিক্ষক। তাদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল সনদ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে যাচাই প্রতিবেদন দিয়েছে এনটিআরসিএ। একই সাথে জাল সনদধারী এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ দুই শিক্ষক শিক্ষক হলেন মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক লতিফুজ্জামান ও একই বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মনিকা রানী। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নন-এমপিও শিক্ষক হিসেবে জাল সনদধারী এ দুই শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছিলেন। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তারা এমপিওভুক্ত হন।
এনটিআরসিএ সনদ যাচাই বিজ্ঞপ্তির আদেশ অনুযায়ী এনটিআরসিএর সনদধারী নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের গত ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠান প্রধানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাতজন শিক্ষকের সনদ যাচাই শেষে এনটিআরসিএ সাত শিক্ষকের মধ্য হতে দুই জন শিক্ষকের সনদ জাল বলে প্রতিবেদন দেয়।
এনটিআসিএ এর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক লতিফুজ্জামান ৫ম নিবন্ধন পরীক্ষার যে সনদ নিজের বলে দাবি করেছেন তা সঠিক নয়। সনদটি জাল ও ভুয়া। এর প্রকৃত মালিক মোঃ সাইফুল ইসলাম। অপর সহকারী শিক্ষক মনিকা রায় যে সনদটি ব্যবহার করেছেন তাও সঠিক নয়। এর প্রকৃত সনদধারী ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন তারা।
জাল ও ভুয়া সনদধারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যাচাই প্রতিবেদন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পঠিয়েছে এনটিআরসিএ। একই সাথে জাল সনদধারী এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। যাচাই প্রতিবেদনের একটি কপি নীলফামারী কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুছ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এনটিআরসিএর নির্দেশনা মোতাবেক বিধি অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে পেরেছি।