ক্রিকেটে বিশেষ কিছু ব্যক্তিত্ব আছে যাদের ছোট্ট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশামের নাম। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে টুইটারে মতামত দেয়া নিশামের অন্যতম প্রধান কাজ। এমনকি এই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার যাত্রার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষাও দিয়েছেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনেও সফলই বলা যায় তাকে। ক্যারিয়ারের প্রথম দুটি টেস্টেই সেঞ্চুরি। বুধবার (১০ জুলাই) বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
এই বিশ্বকাপেও এক ম্যাচে অপরাজিত ৯৭ রান করেছেন এবং এক ম্যাচে পাচঁ উইকেটও নিয়েছেন। চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ম্যাচ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ম্যাচটিতে গুরুত্বপূর্ণ শেষ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতান নিশাম। কিন্তু ২০১৮ সালেই বড়দিনের সময় ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
তার মতে, একটি যথাযথ চাকরি খুজঁছিলেন তিনি - ক্রিকেটের ওপর বিরক্ত হয়ে। "আমি ক্রিকেট ছেড়েই দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার আর্থিক দায়বদ্ধতা ছিল।"
হল্টার নামের একটি কোম্পানিতে যোগাযোগ সহকারী হিসেবে একটি পার্ট-টাইম চাকরিও নেন তিনি, যারা গরু চড়ানোর সুবিধার্থে যান্ত্রিক কলার নিয়ে কাজ করতো। "এক বছর আগে আমি গরু নিয়ে যা জানতাম এখন তার চেয়ে বেশি জানি।"
ক্রিকেট নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানান নিশাম, "ক্রিকেটে আপনি ১০ হাজার বল অনুশীলন করে মাঠে নামবেন এরপর দেখা যাবে, প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে আউট হয়ে গেলেন, তখন মনে হয় সব কষ্ট বৃথা।"
তবে তিনি খেলা ছাড়েননি। নিজেকে বুঝিয়ে খেলা চালিয়ে গিয়েছেন। ওটাগো ওয়েলিংটনের হয়ে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি।
তবে তিনি মনে করেন, সৎ থাকলে ৯৫ শতাংশ ক্রিকেটারের একটা নির্দিষ্ট সময় পর ক্রিকেট নিয়ে বিরক্ত হওয়ার কথা। তার মতে, এই খেলাটিতে ব্যর্থতার হার বেশি।
"ইদানিং আমি আমার কষ্ট ও ফলাফলকে আলাদাভাবে ভাবি, আমি অনুশীলন করি যতটা আমার জন্য প্রয়োজন ততটা। মাঠে নামার পর যখন যা সামনে আসে মেনে নেই।"
নিশাম ধীরে ধীরে যোগাযোগ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠছেন, বিশ্বকাপের মধ্যেও তিনি আলাদাভাবে একটি পরীক্ষা দেন যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের টিম ম্যানেজার। নিশামের মতে, এই ডিগ্রি তাকে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পরে রেডিও বা টেলিভিশন প্রেজেন্টার হতে সাহায্য করবে।