নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডিশ ব্যবসা দখলে ব্যর্থ হয়ে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। মিজানের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার পাইপ দিয়ে পেটানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় এ ঘটনার পর তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে মিজানের স্ত্রী স্বপ্না বেগম ছয়জনের নাম উল্লেখ ও ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মাহমুদপুর এলাকার জজ মিয়ার ছেলে মিজানের ছোট ভাই আলীনুরের ডিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সন্ত্রাসী আনিছুর রহমান ভুলু, আবদুর রহমান, জিএম আমিন হোসেন, তাইজুল ইসলাম তাজু, মজিবুর রহমান, হান্নান মিয়া শান্তসহ তাদের বাহিনীর ৫-৬ জনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে আলীনুরের ডিশ ব্যবসা দখলে ব্যর্থ হয়ে মিজানকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মাহমুদপুর তাইজুদ্দিন মার্কেটের সামনে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর এবং হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়।
তাদের মারধরে নিথর হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন এসে মিজানকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হাওলাদার জানান, মিজান কুতুবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করেন। তার বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।