ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তাকে ‘যৌন নিপীড়নকারী’ মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলার ফাঁসি দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানোর পর তার কুশপুতুল দাহ করা হয়।
‘নুসরাত হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন’ লেখা ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে যান অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী।
সেখানে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা আনজুম অর্ণি, তাবাসসুম মাঈশা মোনা, ইংরেজি বিভাগের লামইয়া তানজিন তানহা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তন্নি তরুনিমা চৈতী ও অরুণিমা তাহসিন।
ফেনীর সোনাগাজীর মেয়ে নুসরাত এ বছর আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী ছিলেন তিনি। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ‘শ্লীলতাহানির’ অভিযোগ এনে গত মার্চে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করে নুসরাতের পরিবার।
সেই মামলা তুলে না নেওয়ায় ‘অধ্যক্ষের অনুসারীরা’ গত শনিবার পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর পাঁচ দিন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বুধবার রাতে মারা যায় নুসরাত।
এজন্য অধ্যক্ষ সিরাজের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে আনিকা আনজুম অর্ণি বলেন, “মেয়েটির মৃত্যুর জন্য মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলা দায়ী। তাই তার সবোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।”
তিনি বলেন, “যে দেশে রাষ্ট্র সমাজে মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই দেশে নুসরাতের এই ঘটনা অস্বাভাবিক বলব না। তবে নুসরাতের প্রতি বর্বরতা স্বাভাবিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
“সেই হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নৈতিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছি।”