গতকাল (৮ সেপ্টেম্বর) একটি জাতীয় দৈনিকের প্রধান শিরোনাম ছিল “পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়ে ডাকসু নেতা”। পত্রিকায় প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি সংক্রান্ত খবরে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাদা দলের শিক্ষকরা। আজ (৯ সেপ্টেম্বর) সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে শিক্ষকরা তাদের উদ্বেগ ও ক্ষোভের কথা জানান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়- ‘কোনো প্রকার বিজ্ঞপ্তি এবং ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি একটি চরম অনিয়ম এবং অমার্জনীয় অপরাধ। তাই এই প্রক্রিয়ায় জড়িত সবাইকে নৈতিক স্খলনের দায়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তাদের জন্যই আজ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের গর্বের স্থানটি পদদলিত।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা আশা করবো এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে যারা অভিযুক্ত তারা সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন।’
উল্লেখ্য, পত্রিকায় “পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়ে ডাকসু নেতা” সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। চলতি বছরের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিলের পরপর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একটি বিভাগের সান্ধ্য প্রোগ্রামে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতাকে অবৈধভাবে ভর্তির সুযোগ দেয়ার অভিযোগ এনে এ দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্যকে ‘চিরকুট ভিসি’ হিসেবে আখ্যা দেন তারা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এদিকে সান্ধ্যকালীন কোর্সের বিশেষ ভর্তিকে ভর্তি জালিয়াতি আখ্যা দিয়ে ঘটনার তদন্তের দাবি করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। রোববার সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক অপূর্ব রায়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ফয়েজউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, ‘আমরা আশা করব, বিশবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ভর্তি জালিয়াতির মূল হোতাদের খুঁজে বের করবে।’