ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ক্ষোভে ফুঁসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রাতেই দোষীদের শাস্তির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আজও দিনব্যপী নানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এদিকে যে স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তা এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ওই ছাত্রী রোববার রাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর এখন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া ঘটনায় জড়িত কাউকে আটকও করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে সবাই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। যে স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জায়গাটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ওসি স্যার ঢাকা মেডিকেলে গেছেন। তিনি নিজে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। আশা করি দ্রুতই আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারবো।’
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোববার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী জানিয়েছেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হাই জানান, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বর্তমানে ঢামেকের ওএসসিসিতে চিকিৎসাধীন।
ঢাবি রোকেয়া হলের ওই শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। ওই ছাত্রীর বয়স ২০ থেকে ২২-এর মধ্যে বলে জানা গেছে। ধর্ষণের সময় তাকে মারধরও করা হয়। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জানিয়েছেন, কুর্মিটোলা এলাকায় নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন তাঁর মুখ চেপে ধরে। এ সময় তাকে মারধরও করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। অচেতন অবস্থায়ই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
পরে রাত ১০টার দিকে চেতনা ফেরার পর তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যান। বান্ধবীকে ঘটনা জানান। এরপর সহপাঠীরা তাঁকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়।