করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আরো একজন ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম হাসিবুর রহমান। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে কর্মকর্ত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই নিয়ে ৫ জন ব্যাংক কর্মকর্তা মারা গেলেন। এই ৫ জনসহ এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ব্যাংক কর্মক্রতার সংখ্যা ৫৬ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসের এডমিন শাখায় কর্মরত ছিলেন হাসিব। ওই শাখায় কিছুদিন আগে আরেক কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই এডমিন শাখা ১৪ দিন লকডাউন করা হয়। ওই কর্মকর্তার পাশেই বসতেন হাসিব। গত সপ্তাহে সামান্য জ্বর জ্বর অনুভব করেন। গত রবিবার থেকে লক্ষণগুলো তীব্র হতে থাকে। সর্বশেষ বুধবার রাতে পুরান ঢাকার বাসায় তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। রাত ১২ টার দিকে জ্বর ডায়রিয়া শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয় এবং ভোরে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর সময় এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান তিনি। তার স্ত্রী একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
হাসিবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি মাকিগঞ্জ জেলার বালিয়াটি উপজেলায়। জনতা ব্যাংকে ২০০৯ কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েরল ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোবারক হোসেন বলেন, তার বিভাগের এক কর্মকর্তার করোনা ধরা পড়ে। নিয়মানুযায়ী বিভাগটি লকডাউন ছিল। কিন্তু এতদিন পর হাসিব কিভাবে আক্রান্ত হয়েছে সেটা বুঝতে পারছি না। তার করোনার পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে, কিন্তু রেজাল্ট পাওয়া যায়নি। তবে করোনার সবগুলো লক্ষণ তার শরীরে দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন। তার মত কর্মঠ ব্যাংকারের অকাল প্রয়াণে আমরা শোকাহত তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা সব জানাচ্ছি।