কলেজের প্রায় তিন হাজার প্রভাষককে এমপিওভুক্তিতে বার্ষিক ছিয়াশি কোটি একত্রিশ লাখ টাকার চাহিদা দিতে যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠাতে পারে অধিদপ্তর। গত সপ্তাহে প্রভাষকদের হিসেবের খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। স্কুলের আইসিটিসহ অন্যান্য বিষয়ের হিসেব দুই সপ্তাহ আগেই পাঠানো হয়েছে। মাদ্রাসা অধিদপ্তর এখনো তালিকাই প্রস্তুত করতে পারেনি বলে জানা গেছে। মাউশি অধিদপ্তরাধীন প্রভাষকদের তালিকা তৈরিতে দেরির পেছনে জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তা ও অধিদপ্তরের একজন অভিজ্ঞ সহকারি পরিচালকের বদলিজনিত কারণ রয়েছে বলে জানা যায়।
২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই নভেম্বরের পরিপত্র জারি হওয়ার পরে অনুমোদিত বিষয়ের বিপরীতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিওবিহীন শিক্ষকদের তালিকা সংগ্রহ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। তালিকাভুক্ত প্রভাষকদের এমপিওভুক্ত করতে বার্ষিক ব্যয় কত, কোন খাত থেকে টাকা খরচ করা হবে ইত্যাদি বিষয় জানতে চেয়েছিলো মন্ত্রণালয়। এই প্রভাষকরা বছরের পর বছর পাঠদান করে যাচ্ছেন কিন্তু কোষাগার থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না।
খসড়া হিসেব অনুযায়ী, প্রতিজন প্রভাষকের মাসিক মূল বেতন বাইশ হাজার টাকা, বছরে দুটি উৎসব বোনাসে এগারো হাজার এবং বাড়ীভাড়া ও চিকিৎসাভাতায় এক হাজার পাঁচশ টাকার হিসেব দেখানো হয়েছে।
কোন বিষয়ের কত প্রভাষক: দৈনিকশিক্ষার হাতে থাকা খসড়া হিসেবে অনুযায়ী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক ২৩৬ জন; উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপননের ৬১০; ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমার ২০৪; বিজ্ঞানের [জীববিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদ, প্রাণি, গণিত ও পদার্থ] ৪৯৯ এবং অন্যান্য বিষয়ের [কৃষি, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, ভুগোল, ইতিহাস, দর্শন, গার্হস্থ্য, ইস. শিক্ষা, ইস. ইতিহাস, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি] এক হাজার তিনশ সাতানবব্বই জন রয়েছেন।
তালিকায় আরো কিছু নাম যুক্ত হতে পারে বলে দৈনিকশিক্ষাকে জানিয়েছে অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা।