করোনা মহামারিতে সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের পর,একের পর এক পাবলিক পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় হুমকির মুখে দেশের শিক্ষাখাত। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আবার এমন সংকটে। কেবল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর পরামর্শ শিক্ষাবিদদের। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষাখাতে বাড়তি প্রণোদনার দাবি তাদের।
ঠিক এমনই এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়। প্রায় অর্ধশতক বছর পর করোনা সংকটে আবারো হুমকিতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। মহামারির প্রেক্ষাপটে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে পাবলিক পরীক্ষা। দেশের কোটি শিক্ষার্থীর চোখে-মুখে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আতঙ্ক।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পর এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট-জেএসসি ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট-জেডিসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন কী হতে পারে, সেই সিদ্ধান্তের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকিয়ে আছে মন্ত্রণালয়ের দিকে।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম বলেন, যদি আমাদের বার্ষিক পরিক্ষা অল্প পরিসরে হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে সেটা আবার মন্ত্রণালয়ের সিন্ধান্ত অনুয়ায়ী হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণর ক্ষেত্রে কি ধরনের পলিসি নেয়া হবে তার জন্য কাজ চলছে। আলোচনার মাধ্যমে গতানুগতিক পরীক্ষার বাইরে মূল্যায়নের কথা ভাবা হচ্ছে কিন্তু সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বার্ষিক পরিক্ষাটা তো কিছুটা পিছিয়ে নেয়া যেতে পারে, পরিবেশ-পরিস্থিতি সাভাবিক হলে। তখন এই মূল্যায়নের ভিত্তিটা যেন সবার জন্য সমান থাকে। অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে শিক্ষকদের, অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে এবং অতিরিক্ত বিনিয়োগও লাগবে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে প্রয়োজনে পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের। শিক্ষা খাতে প্রণোদনার স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রতি বাড়তি গুরুত্ব দেয়ার ওপর জোর দেন তারা। এবছর পিইসিতে পরীক্ষার্থী ২৯ লাখ এবং জেএসসি ও জেডিসিতে ২৫ লাখ।