তৃতীয় শিক্ষকদের কপাল পুড়লো - দৈনিকশিক্ষা

তৃতীয় শিক্ষকদের কপাল পুড়লো

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৯২ জনের কপাল পুড়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্তির আবেদন না মঞ্জুর করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

একইসঙ্গে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের পর কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদনও না মঞ্জুর করে দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের একটি রায় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্তির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গত ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এক সভায় ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া ও ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের পর কলেজে গভর্নিং বডির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদন না মঞ্জুর করার সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার ওই সভার সিদ্ধান্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

বেসরকারি মাধ্যমিক অধিশাখার উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিটি মঙ্গলবারই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে পাঠানো হয়েছে। ওই সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে মহাপরিচালককে বলেছে মন্ত্রণালয়। 

দৈনিক আমাদের বার্তার হাতে থাকা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ পাওয়া স্নাতক পাস পর্যায়ের তৃতীয় শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হবেন। অর্থ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগ করা হয়নি এরূপ প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না। আপিল বিভাগের একটি রায় অনুযায়ী তৃতীয় শিক্ষক এমপিওভুক্তির সুযোগ নেই। অর্থ বিভাগের নির্দেশনা ও আপিলের রায় অনুযায়ী তৃতীয় শিক্ষক এমপিওভুক্তির সুযোগ না থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠানো ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া ৯২ জন তৃতীয় শিক্ষকের এমপিওভুক্তির জন্য দাখিল করা আবেদন না মঞ্জুর করা হলো।


চিঠিতে আরো বলা হয়, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বরের পর নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ না থাকায় গভর্নিং বডির মাধ্যমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের পরে ২০১৭-২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য দাখিল করা আবেদন না মঞ্জুর করা হলো। একই কারণে ২০১৯ থেকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষককে একইসঙ্গে এমপিওভুক্তর জন্য দাখিল করা আবেদন না মঞ্জুর করা হলো। 

গত ২৭ আগস্ট এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন এনটিআরসিএর সুপারিশে বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে নিয়োগ পাওয়া ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকরা। 

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি কলেজ কমিটির সভাপতির যোগ্যতা এইচএসসি, গেজেট জারি - dainik shiksha কলেজ কমিটির সভাপতির যোগ্যতা এইচএসসি, গেজেট জারি নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক - dainik shiksha নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক মাদরাসা শিক্ষাকে বাস্তবমুখী করতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha মাদরাসা শিক্ষাকে বাস্তবমুখী করতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মদ্যপ অবস্থায় আটক শিক্ষক বরখাস্ত - dainik shiksha মদ্যপ অবস্থায় আটক শিক্ষক বরখাস্ত দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সনদ জালিয়াতিতে শনাক্ত আরো কয়েকজন নজরদারিতে - dainik shiksha সনদ জালিয়াতিতে শনাক্ত আরো কয়েকজন নজরদারিতে শিক্ষা প্রশাসনে বড় রদবদল - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বড় রদবদল প্রশ্নফাঁসে শিক্ষক চাই না - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসে শিক্ষক চাই না please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057370662689209