দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত দপ্তরি কাম প্রহরীদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের আদেশ সংক্রান্ত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) এ রায় প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং অন্যতম রিট পিটিশনার সাধন চন্দ্র বাড়ৌই দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত দপ্তরি কাম প্রহরীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দপ্তরি-কাম প্রহরী পদে জনবল নিয়োগের নীতিমালা-২০১২ এর কয়েকটি ধারা অভেধ ঘোষণা করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। পৃথক ছয়টি রিট একীভূত করে এ রায় দেয়া হয়। রায়ের কপিটি আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রকাশ করা হল।
রায়ে, প্রচলিত বিধি অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলে ৩ বছরের বেশি সময় দপ্তরি কাম প্রহরী পদে কর্মরত ও আউট সোর্সিং জনবল নিয়োগ নীতিমালায় নিয়োগকৃত পিটিশনারদের চাকরি ছয় মাসের মধ্যে রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে। একই সাথে যদি প্রয়োজন থাকে তাহলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি ও নৈশ প্রহরী নামের দুইটি পৃথক পদ সৃষ্টি করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং অন্যতম রিট পিটিশনার সাধন চন্দ্র বাড়ৌই রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক দফায় আউট সোর্সিং জনবল নিয়োগ নীতিমালায় প্রায় ২৭ হাজার লোক দপ্তরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পেয়ে কাজ করছে। এরমধ্যে রাজস্বখাতে নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে ও আউট সোর্সিং নীতিমালা বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদি হাইকোর্টে আলাদা আলাদা ভাবে ৬টি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এ রায়গুলো একীভূত করে আদালত প্রথমে বিষয়টি নিয়ে রুল এবং পরে পূর্ণাঙ্গ শুনানি নিয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে গত ৩০ জানুয়ারি রায় দেন। রায়ের কপিটি আজ প্রকাশিত হল।