তিনটি পাঠ্যবইয়ের দামা বাড়ানোসহ তিন শর্তে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবই নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তত্ত্বাবধানে থাকা তিন পাঠ্যবইয়ের দাম ১৫ শতাংশ হারে বাড়ানো হচ্ছে। প্রকাশকরা অফারিং পদ্ধতিতে এ বই মুদ্রণ ও বাজারজাত করবেন। আগামী ১২ জুনের মধ্যে বইগুলো জেলা পর্যায়ের দোকানে পৌঁছানো হবে। ১ জুলাই উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস শুরু হবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের ব্যাপারে আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং প্রকাশকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বইয়ের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ঈদের আগেই শিক্ষার্থীরা বাজারে বই পাবে। উচ্চ মাধ্যমিকের যে তিনটি বই এনসিটিবির তত্ত্বাবধানে রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- বাংলা, বাংলা সহপাঠ (উপন্যাস ও নাটক) এবং ইংলিশ ফর টুডে বা ইংরেজি প্রথমপত্র। এর বাইরে আর সব বই বেসরকারি প্রকাশকরা কারিকুলাম অনুযায়ী রচনা করিয়ে এনসিটিবি থেকে অনুমোদন নিয়ে বাজারজাত করে থাকেন।
এ প্রসঙ্গে বাপুসের সহ-সভাপতি ও পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শ্যামল পাল সাংবাদিকদের বলেন, খোদ এনসিটিবিই গত বছরের তুলনায় এবার কাগজ ৫০ শতাংশের বেশি দরে কিনেছে। নির্বাচনী বছর হওয়ায় প্রেসের ব্যস্ততা বেড়েছে। কাগজসহ মুদ্রণ উপকরণের দাম বেড়েছে। এ কারণে বইয়ের উৎপাদন দামও বেড়েছে। তাই বাস্তব কারণেই বইয়ের দরও বাড়ানোর প্রস্তাব ছিল।
প্রকাশক ও মুদ্রাকরদের দেয়া শর্ত অনুযায়ী বইয়ের দাম বাড়ছে। তবে তারা রয়্যালটি ১ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দিলেও তা এনসিটিবি গ্রহণ করেনি। সাধারণ প্রতিবছর ২ কোটি টাকার বেশি রয়্যালটি হিসেবে আদায় হয়ে থাকে, যা সরকারি তহবিলে জমা পড়ে।গত বছর বাংলা বইয়ের দাম ছিল ১১৩ টাকা। সেটির দাম এখন হবে ১২৮ টাকা। বাংলা সহপাঠের দাম গত বছর ছিল ৫৫ টাকা। এবার ধরা হয়েছে ৬৪ টাকা। ইংরেজি বইয়ের ৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।