আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার জন্য এলওআই (লেটার অব টেন্ট) বা আগ্রহপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে ‘নগদ’কে।
গভর্নরের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘নগদকে (আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে) অনুমোদন দেওয়া হয়নি। নগদ পর্ষদকে লেটার অব টেন্ট জমা দিতে বলবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হবে। সেসব শর্ত পূরণ করতে হবে তাদের, এরপর পরবর্তী কার্যক্রম। এরকম সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এনবিএফআই হিসেবে দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করা হয়েছে ‘নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি’ নামে।
ডাক বিভাগ ও বেসরকারি উদ্যোগের নাম ‘নগদ’, যার যাত্রা শুরু ২০১৯ সালে। এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘নগদ’ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা।
প্রতিষ্ঠানটি এমএফএস (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস) সেবা দিচ্ছে ডাক বিভাগের পরিচয়ে; যদিও এর মালিকানা ও লাভ-লোকসান নিয়ে ডাক বিভাগের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এখনও মেটেনি।
এমএফএস সেবা দিতে অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক এমএফএস সেবা পরিচালনা করে ব্যাংকের মাধ্যমে।
সেক্ষেত্রে কোনো ব্যাংক একক বা সর্বোচ্চ ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা নিয়ে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলতে পারে। ওই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এমএফএস সেবা পরিচালনা করা সম্ভব।
ডাক বিভাগের নাম বহনকারী নগদ প্রথম দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়নি। পরে সরকারের হস্তক্ষেপে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আন্তঃবৈঠকের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সাময়িক অনুমোদন দেওয়া হয় নগদকে।
ডাক বিভাগের মাধ্যমে নগদকে ব্যবসা পরিচালনা করতে অনুমোদন দিতে এমএফএস নীতিমালায়ও পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, এমএফএস সেবা ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগেও হতে পারবে। তারপরও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যবসা পরিচালনায় অনুমোদন নিতে হবে।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিতে চূড়ান্ত অনুমোদন এখনও না পেলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে নগদ।
এলওআইর’ শর্ত পূরণ করতে পারলে ‘নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি’ হিসেবে এনবিএফআই’র অনুমোদন পেতে পারে। তখন ‘নগদ’কে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে কার্যক্রম চালাবে নগদ ফাইন্যান্স।
আবার তখন ‘নগদ’র মালিকানা কেমন হবে, তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে ডাক বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে।