আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা না হলে ডিসেম্বর মাস থেকে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরীরা। একই সাথে অবিলম্বে তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর নিয়ে দেয়া হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা। রোববার (২৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. খলিলুর রহমান। এসময় সংগঠনের সভাপতি সাধন কান্ত বাড়ই, সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন মোল্লা, দপ্তরি নেতা মো. মজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তেব্যে বলা হয়, অবিলম্বে রায় কার্যকরের মাধ্যমে দপ্তরিদের জন্য স্বতন্ত্র পদ সৃষ্টি করে কর্মরত দপ্তরি কাম প্রহরীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর এবং একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করে একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নামক অমানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। নভেম্বরের মধ্যে কর্মঘণ্টা নির্ধারণ বা রায় বাস্তবায়ন না হলে ডিসেম্বর মাসে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।
সংবাদ সম্মেলন শেষে দপ্তরিরা জানান, রিট মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের দেয়া রুলের জবাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জবাবে বলা হয়েছে, দপ্তরিদের চাকরি ২৪ ঘণ্টা নয়। স্কুলের সময় আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু আমাদের ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই, সুস্পষ্ট কর্মঘণ্টা নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও জানান, আদালতের রায়ে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা দপ্তরি কাম প্রহরীদের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের নীতিমালাটি আদালত সরিয়ে রাখতে বলেছেন। সেপ্টেম্বর মাসে সংশোধিত নীতিমালা জারি করা হলেও সেখানে কর্মঘণ্টা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখিত নেই। তাই, কর্মঘণ্টা নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও জানান, আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, দপ্তরি বা প্রহরী প্রয়োজন থাকলে দুইটি আলাদা পদ সৃষ্টি করা যাবে। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের পদ সৃজনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সেখানে আমাদেরর দপ্তরি কাম প্রহরি পদের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। দপ্তরি কাম প্রহরী পদটি রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত হলে প্রধান শিক্ষক আমাদের ২৪ ঘণ্টা কাজ করাবেন। তাই, আমরা চাই দুইটি আলাদা পদ সৃজন করা হোক।
দপ্তরিরা জানান, নভেম্বর মাসের মধ্যে কর্মঘণ্টাসহ অন্যান্য দাবি দাওয়া পূর্ণ না হলে ডিসেম্বর মাস থেকে আমরা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।