রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাকে আধুনিক বিজ্ঞান এবং তথ্য-প্রযুক্তির ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিশু-কিশোর ও যুবকদের নৈতিক ও ব্যবহারিক শিক্ষার পাশাপাশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সোমবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলের ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন , নতুন প্রজন্মকে আদর্শ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পাড়া, মহল্লাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটিভিত্তিক স্কাউটিং চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক, প্রগতিশীল ও সৃজনশীল জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে স্কাউটিং কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। স্কাউটরা হলো চেঞ্জমেকার।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘সমাজে স্বার্থপরতা, হিংসা, লোভ ও নৈতিকতার অবক্ষয় শিশু-কিশোরদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও প্রযুক্তির অপব্যবহারও তরুণদের বিপথে পরিচালিত করতে ভূমিকা রাখছে। এতে অনেক সম্ভাবনাময় প্রতিভা অকালে ঝরে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে তরুণদের মুক্ত রেখে তাদের মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে স্কাউট আন্দোলন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, পরোপকারী ও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে একজন স্কাউট সকলের স্নেহ ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারে। লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কাউটরা দুর্যোগকালীন দ্রুত সাড়াদান, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে অবদান এবং জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্যাম্প, স্যানিটেশন, বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ রক্ষার মতো বিভিন্ন সমাজ গঠনমূলক কাজে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রেসিডেন্ট মো. আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. এম মোজাম্মেল হক খান এবং স্কাউটস নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা।