যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করলেও মাসুদুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রায় চার বছর পর ১৬ নভেম্বর প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন মাসুদুর। মামলাটি আমলে নিয়ে যশোর পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে সে সময় বালিয়াডাঙ্গা খানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমানসহ ১৭ জন আবেদন করেন। পরে ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি ওই নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এতে মাসুদুর রহমান ৫০ নম্বরের মধ্যে ৩৪ পেয়ে প্রথম স্থান এবং ৩৩.৮ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হন ইউনুচ আলী।
নিয়োগ বোর্ডের প্রধান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (তৎকালীন) আকরাম হোসেন খান কতিপয় সদস্যের সঙ্গে জোগসাজশে ইউনুচ আলীকে নিয়োগদানের জন্য সুপারিশ করলে তাকে ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ দেয়।
জানা যায়, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলীকে সাময়িক বহিস্কার করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি।
ওই মামলায় সাময়িক বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলী এবং তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন খানকে আসামি করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী বশির আহম্মেদ খান জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, এ মামলার বিষয়টি তার জানা নেই।