এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ডেইলি অবজারভার ও ডিবিসি টেলিভিশনের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি মো. মালেক মিঠুকে মারধর করেছে পুলিশ। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই মো. রিপন মিয়াকে প্রত্যাহার করেছে জেলা পুলিশ। বরগুনার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষায় সকাল ৯ টার দিকে সাংবাদিক মালেক মিঠু সংবাদ সংগ্রহের জন্য বরগুনা জিলা স্কুলে এসএসসির পরীক্ষা কেন্দ্রে যান। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই মো. রিপন মিয়া তাকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা দিয়ে মারধর করে। খবর শুনে বরগুনা সদর থানার ওসি মো. আবির মোহাম্মদ হোসেন ও ওসি তদন্ত মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে তাদের নিষেধ অমান্য করে পুনরায় মিঠুকে মারধর করেন এএসআই রিপন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বরগুনা প্রেসক্লাবে জরুরি সভা করা হয়। সভা শেষে বরগুনা জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে বরগুনার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমেদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ পেয়ে এএসআই রিপনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
সাংবাদিক মালেক মিঠু দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানায়, শনিবার সকাল ৯টার দিকে আমি সংবাদ সংগ্রহের জন্য বরগুনা জিলা স্কুলে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে যাই। এসময় এক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে গেটের ভিতরে ঢুকতে দিলেও হঠাৎ করে গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রিপন মিয়া কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয়। কেন, কী কারণে বাধা দেওয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে, উনি আমাকে সবার সমনে মারধর করেন। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিকভাবে বরগুনা সদর থানা ও সাংবাদিকদের জানালে ঘটনাস্থলে বরগুনা থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন ও ওসি তদন্ত মো. রফিকুল ইসলাম আসেন। এসময় তাদের সামনেই আবারও আমাকে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমেদ জানান, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রিপনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।