প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য রয়েছে মাত্র একটি একাডেমিক ভবন। ক্লাসরুম সংকটে ল্যাবরুমে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে, সেখানেও রয়েছে চেয়ার সংকট। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য দুটি আবাসিক হল রয়েছে। হল দুটিতে প্রায় ৮৫০ শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন দেলোয়ার হোসেন দিহান।
বাকি শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় ক্যাম্পাসের বাইরে। তাদের চলাচলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে মাত্র পাঁচটি বাস, তিনটি বাস রয়েছে ভাড়ায় চালিত। ফলে প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীদের বাসে ঝুলে ঝুলে ক্যাম্পাসে যাওয়া আসা করতে হচ্ছে। ধাক্কাধাক্কি করে বাসে ওঠা-নামার সময় শিক্ষার্থীরা নানাভাবে আহত হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নেই পুলিশ ফাঁড়ি, নেই ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র, নেই কোনো মিলনায়তন। সবচাইতে অবাক করা বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একজন স্থায়ী অধ্যাপক পর্যন্ত নেই, যার ফলে শিক্ষার্থীরা উচ্চতর গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। পরিশেষে, পাবিপ্রবির সংকটসমূহ দ্রুত দূর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
লেখক: শিক্ষার্থী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়