রাজশাহীর বাগমারায় লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকরের নামে একজন কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সাঁকোয়া গ্রামে নিজ বাড়ির দরজার সামনে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বাগমারা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (এসিল্যান্ড) লাঠির আঘাতে কলেজ শিক্ষক আব্দুল আজিজের হাত ভেঙ্গে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি। আহত আব্দুল আজিজ সাধনপুর পঙ্গু ও শিশু নিকেতন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক।
ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার রাতে ওই কলেজ শিক্ষকের হাতে সেলাই দেয়া হয়। তার বাম হাতের কব্জির নিচের হাড় ভেঙে যায় ও রক্তপাত হয়। সেলাই দেয়া হয়েছে। এরপর গতকাল বাগমারার জনতা ক্লিনিকে নিয়ে তার ওই হাতে ব্যান্ডেজ করানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ। শিক্ষক আব্দুল আজিজের স্ত্রী বেবি খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, এসিল্যিান্ডের লাঠির আঘাতেই আমার স্বামীর হাত ভেঙেছে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। বাগমারা থানার ওসিও স্বীকার করেছেন এসিল্যান্ড নিজেই লাঠি দিয়ে আঘাত করেছেন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক আব্দুল আজিজকে। তিনি নিজের পরিচয় দেয়ার পরেও এসিল্যান্ড মাহমুদুল হাসান আমার স্বামীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এখন তিনি খুবই অসুস্থ। লকডাউনের কারণে সঠিক চিকিৎসাও হচ্ছে না। অথচ তিনি ডায়াবেটিসের রোগী।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
বেবি খাতুন আরও জানান, বাজারের লোকজনকে ধাওয়া দিতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যান এসিল্যান্ড। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি উঠেই সামনে একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক আব্দুল আজিজ পরিচয় দেয়ার পরও তাকে লাঠি দিয়ে হাতের ওপর আঘাত করেন।
তবে এসিল্যান্ড মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটার কোনো সুযোগ নেই। তবে যারা লকডাউন অমান্য করেছে তাদেরকে জরিমানা করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আসলে উনি পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে গেছে। আমরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। চাইলে আমার ফোনে কথা বলতে পারেন ভিকটিমের সঙ্গে। পরে শিক্ষক আব্দুল আজিজ ইউএনও’র কাছে ফোন করে বলেন, এসিল্যান্ডের লাঠির আঘাতেই তার হাত ভেঙেছে।