শিক্ষার্থীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চত করতে জেন্ডার সংবেদনশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাঠ্যপুস্তকে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত অধ্যায় থাকলেও তা সেভাবে পড়ানো হয় না। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘শিক্ষক প্রশিক্ষণ কারিকুলামে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিরা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। ইউনিটি ফর বডি রাইটস (ইউবিআর) বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর। মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন ইউবিআর অ্যালায়েন্সের প্রগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শারমিন ফাহাত উবায়েদ।
আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মাহমুদুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, একই অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল মান্নান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, মাদরাসা টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ড. গোলাম আযম আজাদ, আরএইচস্টেপের নির্বাহী পরিচালক কাজী সুরাইয়া সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সৈয়দা তাহমিনা আকতার, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ কানিজ সৈয়দা বিনতে সাবাহ, ইউএনএফপির ড. মোহাম্মদ মনির হোসেন, বিএনপিএসের নাসরিন বেগম প্রমুখ।
সভায় সরকারের পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরে অতিরিক্ত সচিব ড. মাহমুদুল হক বলেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখার জন্য প্রতিটি স্কুলে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। স্কুলগুলোতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা ওয়াশরুম তৈরি করা হচ্ছে। স্কুলের নতুন ভবনে এটা থাকা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া সচেনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জেন্ডার দৃষ্টিকোণ থেকে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যকে না দেখলে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব। এ জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি স্কুলে।
কাউন্সিলর নিয়োগ দিতে হবে। এরই মধ্যে সরকার এসংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।