দেশে বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে সরকারি ৪৯ পলিটেকনিকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ৫০০-র বেশি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েক হাজার শিক্ষক। তাঁদের জীবনযাপন নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতনের ওপর। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানই এখনো মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেনি। সোমবার (২৭ এপ্রিল) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, যার কারণে গৃহবন্দি এসব শিক্ষক চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন। কথা হচ্ছিল খুলনার এক বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষকের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘করোনার কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানেই ৩০ জনের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন, যাঁরা প্রতিষ্ঠানটির বেতনের ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ আমাদের মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন।’
বরিশালের আইডিয়াল পলিটেকনিকের এক শিক্ষকের কাছে জেনেছি, তাঁদের মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায়, সব প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকপক্ষ যাতে কর্মচারীদের আপত্কালীন সময়ে বেতন প্রদান করেন—সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : রেদোয়ান হোসেন, সহকারী শিক্ষক, বাবুগঞ্জ, বরিশাল