সরকারি বিধি না মেনে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি ইউনিয়নের জোত মনিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৩০ টি গাছ গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একজন কাঠ ব্যবসায়ী গাছগুলো কিনেছেন বলে জানা যায়। রোববার (১৮ আগস্ট) কাঠ ব্যবসায়ীর লোকজন গাছগুলো কাটতে আসলে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে।
জানা যায়, বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি ইউপির জোত মনিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বিদ্যালয়ের মাঠের চারপাশের বড় বড় ইউক্যালিপটাস, কাঁঠাল ও বটগাছ বিক্রির পরিকল্পনা করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি না নিয়েই গোপনে তারা কেবলমাত্র ময়দানদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারকে অবহিত করে বড় আকৃতির ৩০টি গাছ বিক্রি করেন। প্রায় ৪ লাখ টাকা মূল্যের ওই গাছগুলো মাত্র ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জোত মনিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ময়দানদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারের অনুমতি নিয়ে আমরা গাছগুলো ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন, বিদ্যালয় গাছগুলোর কারণে পাশের জমির ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তাই তাদের আপত্তির কারণে গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ময়দানদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বলেন, ওই বিদ্যালয়ের গাছগুলো তারা কাটবে বলে আমাকে জানিয়েছে। আমি বলেছি নিয়ম মেনে যেন গাছগুলো কাটা হয়।
এ বিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হাসান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, সরকারি বিধি না মেনে ওই বিদ্যালয়ের গাছ কাটার কথা শুনেছি। আমরা গাছগুলো জব্দ করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। গাছগুলো জব্দ করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।