ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতিতে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের একটি চক্র জড়িত থাকার পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। রিমান্ডে থাকা চক্রের সদস্যরা জিজ্ঞসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও এই চক্রে জড়িত।
শুক্রবার (৬ এপ্রিল) রাতে মিরপুর, নিউমার্কেট ও ফার্মগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস এবং তা সমাধান দেওয়া একটি চক্রের ১০ জনকে গ্রেফতার করে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত-তদারক কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মশিউর রহমান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিরা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং কলেজে ভর্তি পরীক্ষায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর হাউস বিল্ডিং করপোরেশন অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট,সোনলি ব্যাংক, রূপালি ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় তারা প্রশ্নফাঁসের পর ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রার্থীদের প্রশ্নের সমাধান করে দিয়েছেন। সম্প্রতি নার্সিং কলেজের ও অন্য সব নিয়োগ পরীক্ষা যেসব কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের কাছ থেকে চক্রের সদস্যরা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় প্রশ্ন কেনেন। পরে চুক্তিবদ্ধ প্রার্থীদের সঙ্গে থাকা ডিভাইসে কথা বলে ওই প্রশ্নের সমাধান করে দিয়েছেন। এ চক্রের সদস্যরা প্রত্যেক প্রার্থীদের কাছ থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা করে নিয়েছেন।
ডিবির কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্য উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা পুলকেশ দাস ওরফে বাচ্চু , বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক আবু জাফর মজুমদার এবং অন্যতম সমন্বয়কারী ডিভাইস সংগ্রহকারী কার্জনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।