বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৪৩নং ধরাধোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি টিউবওয়েল খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম আল আমিন টিউবওয়েল দুটি বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম আল আমিন ধরাধোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারের দুটি টিউবওয়েল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। পোলেরহাট বাজারের মারিয়া স্যানিটারী এন্ড হার্ডওয়ারের দোকানের মালিক মোতালেব হোসেনের কাছে ২ হাজার ৬০০ টাকায় টিউবওয়েল দুটি বিক্রি করা হয়েছে। একদিকে খরায় পানীয় জলের সংকটের সময় বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল বিক্রি করায় শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আল আমিন দৈনিক শিক্ষাকে জানান, টিউবওয়েল দুটি অকেজো। তাই, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরোজা রুবি ও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
ক্রেতা মারিয়া স্যানিটারী এন্ড হার্ডওয়ারের দোকানের মালিক মোতালেব হোসেন দৈনিক শিক্ষাকে জানান, গত ২৫ জুন সন্ধ্যার টিউবওয়েল দুটি তার দোকানে নিয়ে আসা হয়। তিনি প্রধান শিক্ষক আল আমিনের কাছ থেকে ২৬শ’ টাকায় তার কাছে টিউবওয়েল দুটি বিক্রি করেছে। ফাঁড়ি পুলিশ বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত আছে। পুলিশ এ টিউবওয়েল দুটি সংরক্ষণে রাখার জন্য বলেছেন। টিউবওয়লে দুটি এখনো তার দোকানে রয়েছে।
টিউবয়েল সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুবির রায় বলেন, ঐ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি মাল বিক্রি করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাক ডেটে ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন করে তা বৈধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। যা বিধি সম্মত নয়। তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করার পাশাপাশি তাকে প্রতিবেদন দিবেন। থানা পুলিশও ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার নন্দী জানান, ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশনে সরকারি মালামাল বিক্রি করা যায় না। এটা বিধি বর্হিভূত।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ-ই-আলম বাচ্চু দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।