প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের চ্যালেঞ্জ - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের চ্যালেঞ্জ

মো. সিদ্দিকুর রহমান |

মাতৃগর্ভ শিশুর স্বর্গ। সেসময় তেমন যন্ত্রণা ও অবহেলার মাঝে তারা বেড়ে ওঠে না। অবুঝ শিশুর মুখ ফুটে কিছু বলার সামর্থ্য থাকে না। শিশুর হাসি, কান্না, চাহনির মাধ্যমে তাদের চাওয়া-পাওয়া বড়দের বুঝে নিতে হয়। শিশুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রিয়জন মা। সাধারণত তিনি তার ভাষা বুঝে চাহিদা পূরণ করে থাকেন। মায়ের দুধ শিশুর আদর্শ পুষ্টিকর খাবার। শিশুর জন্য মায়েরও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজন। এ জন্য অসচেতন, অসহায় মায়েদের প্রসূতিকালীন পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করা দরকার। সব শিশু বৈষম্যহীন, শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে উঠুক এটাই কাম্য। এ জন্য অসচ্ছল, গরিব মায়েদের নির্দিষ্ট সময় বয়স্ক ও বিধবা ভাতার মতো প্রসূতিকালীন ভাতা দেয়ার দানের বিষয়টি ভেবে দেখা প্রয়োজন।

শিশুরা পুষ্টির অভাবে বেড়ে উঠলে আগামী প্রজন্ম হয়ে উঠবে বিকলাঙ্গ জাতি হিসেবে। খাদ্যের পর শিশুর শিক্ষা নিয়ে চলে ভয়ংকর প্রতিযোগিতা। শিশুর শিক্ষা জীবন শুরু হয় ৩-প্লাস বয়স থেকে, স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ, ইংরেজি, আরবি বর্ণমালা দিয়ে। অনেক শিক্ষিতজনদের মাঝেও এ প্রবণতা দৃশ্যমান। শিশুর প্রথম শিক্ষা তার নিজস্ব পরিবেশে। পরিবেশের জ্ঞান ধীরে ধীরে নিয়ে যাবে তাকে বৃহত্তর পরিবেশে। পরিবেশ শিক্ষায় সমৃদ্ধ জ্ঞান অর্জন করলে শিশু বেড়ে উঠবেন আপন গতিতে। তাকে এগিয়ে যেতে হবে মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির সংগ্রামী ইতিহাস নিয়ে। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় উজাড় করে দিতে হবে মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমিকে। এদের ভালোবাসা ইমানের অঙ্গ। 

এক শ্রেণির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, দেশের সংস্কৃতি ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান ব্যতিরেকে বেড়ে উঠছে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই তাদের ধর্ম, কর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবে। এটাই স্বাভাবিক। মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। আমরা বিশেষ করে মুসলমানরা এতে তাদের ধর্ম থেকে বিচ্যুতি হয়ে যাওয়ার প্রশ্ন আসে না? বরং ইমানদার হিসেবে জীবনযাপন করতে পারবে। প্রত্যেক শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৈনিক ১টা পিরিয়ড মুসলমান শিক্ষার্থীদের কায়দা, আমপারা ও সূরা পড়ার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে ও অনুরূপ ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। ধর্ম বইয়ের নাম পরিবর্তন করে নৈতিক শিক্ষা নামকরণ করা যেতে পারে। ওই বইয়ে ইসলামসহ সব ধর্ম, জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য মহাপুরুষদের কীর্তিমান কর্মকাণ্ড শ্রেণিওয়ারি থাকবে। সময়নিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সব কলাকৌশল অন্তর্ভুক্ত করিয়ে পাঠ্যক্রমকে সমৃদ্ধ করতে হবে। উন্নত বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থার আদলে বর্তমান সরকার যুগোপযোগী জ্ঞানমুখী শিক্ষাক্রমের কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে। ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়ন ব্যবস্থার মাধ্যম বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীর হাতুড়ে পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে মুক্তি করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। মুখস্থ বিদ্যা পরিহার করে শিক্ষার্থীকে জ্ঞাননির্ভর শিক্ষায় আলোকিত করার উদ্দেশে বর্তমান শিক্ষাক্রমে প্রত্যাশা। এ বাস্তবতাকে লক্ষ রেখে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার পরিবর্তে মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করেছেন। তার সরকার বিগত বছরগুলোতে ১ম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে ৬-প্লাস শিশুকে লটারির মাধ্যমে ভর্তি সুযোগ করে দিয়েছেন। গত তিন বছর ধরে ১ম-৯ম শ্রেণি পর্যন্ত সব ভর্তি পরীক্ষা লটারির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যবস্থা পরবর্তী বছরগুলোতেও চালু থাকবে বলে আশাবাদী। ভর্তি পরীক্ষার জন্য বার্ষিক পরীক্ষাসহ সারা বছরের লেখাপড়ার ধকলের ক্লান্তি দূর না হতে বিনোদনের পরিবর্তে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দিনভর প্রস্তুতি নিতে হতো। ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোচিং সেন্টারগুলো হয়ে উঠত জমজমাট বাণিজ্য। কতিপয় স্কুলের ভর্তি জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার গুঞ্জন ছিলো মানুষের মুখে মুখে। বর্তমান সময়ে ভর্তির কোচিং ও ভর্তির ঘুষ বাণিজ্য শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে, কতিপয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করা ভালো শিক্ষার্থী ও অর্থ বিত্তশালীদের সন্তানদের ভর্তি করিয়ে অনেকটা ‘তেলা মাথায় তেল দিয়ে’ নামি, দামি খেতাব অর্জন করত। সে স্বপ্ন এখন ম্লান হওয়ার পথে। এখন বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীকে জ্ঞান অর্জন করিয়ে সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। জ্ঞান ব্যতিরেকে সার্টিফিকেটের শিক্ষা শিক্ষার্থীর মেধার বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। এ প্রেক্ষাপটে শিশুর মাঝে সৃজনশীলতা বিষয়টি পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিকে রচনা লেখা নিয়ে আলোকপাত করছি। এখনো আমাদের শিক্ষার্থীরা বই দেখে রচনা মুখস্থ করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ‘পরীক্ষার খাতায় বমি করে। এতে অনেক নম্বর পেয়ে কৃতিত্ব জাহির করে থাকেন। রচনা যদি মুখস্থ করার বাইরে আসত তাহলে শিক্ষার্থী তেমন কিছু লেখতে পারতেন না। রচনা শব্দের প্রকৃত অর্থ ‘রচ তুমি আপন মনে’ অর্থাৎ বিষয়টি নিজের মতো করে বর্ণনা দেয়া।’ আমাদের শিশু শিক্ষর্থীকে তার পরিবেশ থেকে বিভিন্ন বিষয় যেমন বাবা, মা ঘর, শ্রেণিকক্ষ, স্কুল, পিঠা, জন্মদিন, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জাতীয় ও বিশেষ দিবস পালন নিজে ঘটনা, দৃশ্য দেখে লেখার বা বলার অভ্যাস করবে। শিক্ষক বাদ পড়া গুরুত্বপূর্ণ বাক্য বলতে ও লিখতে সহায়তা করবে। এভাবে শিশু শিক্ষার্থী নিজে রচনা বলা বা লেখার অভ্যাস করলে তার মাঝে সৃজনশীলতা গড়ে উঠবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মনে জানার আগ্রহ ও কৌতূহল ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র তৈরিসহ উত্তর বলা বা লেখার শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা উপস্থাপন করছি। শিক্ষক প্রথমে পাঠের বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে ধারণা দেবেন। পরে তাদের মৌখিক প্রশ্ন তৈরি করতে বলতে বলবেন। পাঠ্যপুস্তক দেখে অতঃপর প্রশ্ন ও উত্তর খাতায় লেখতে বলবেন। শিক্ষার্থীর ঘাটতি পূরণে শিক্ষক তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন। এভাবে শিক্ষক বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র তৈরি করে বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা নেয়, সে আদলে শিক্ষার্থী প্রশ্ন তৈরি করে নিজে উত্তর লেখার মাধ্যমে বিষয়বস্তু সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করবে। এভাবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নসহ প্রশ্ন তৈরির মাধ্যমে তাদের চিন্তাশক্তিসহ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে।

শিশু শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ সৃজনশীলতা আনয়ন করতে সক্ষম হলে নোট, গাইডের বাণিজ্যসহ মুখস্থ করার প্রবণতা বহুলাংশে দূর হবে। শিক্ষাক্রম প্রক্রিয়াকে সব বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, দক্ষ, অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর। এর ব্যত্যয় ঘটলে শিক্ষাবান্ধব সরকারের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়বে। শিশু শিক্ষার জন্য প্রয়োজন প্রথমত শিশু মনোবিজ্ঞানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক। অথচ যোগ্যতাসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় হাবুডুবু খাচ্ছে, কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। দেশের ব্যাপকসংখ্যক শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনে শিশু শিক্ষায় বর্তমান শিক্ষাক্রমের সফল বাস্তবায়ন নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে।

শিশুদের শিক্ষক সংকট দূরীকরণের সংশ্লিষ্টদের ধীর গতি। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময়ের পরও এর কোনো পরিবর্তন আসেনি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দক্ষ, অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক থাকলেও শিক্ষক সংকটের বেহাল চিত্র নিয়ে প্রতিনিয়ত মিডিয়ায় শিরোনাম হতে দেখা যায়। বর্তমান সরকারের আমলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভৌত অবকাঠামোসহ বিদ্যালয় পরিবেশ হয়ে দৃষ্টিনন্দন ও মনোরম শিশু শিক্ষার উপযোগী। অথচ শিক্ষক সংকটে হয়ে পড়েছে অনেকটা ‘ওপর দিয়ে ফিট ফাট ভেতর দিয়ে সদরঘাট’ প্রবাদের মতো। শিক্ষকের বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাতের সঙ্গে তুলনা করা যায়। গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে এ কথাটি প্রায়ই শোনা যায়, ভাত হলে, পেঁয়াজ, মরিচ দিয়ে কচলিয়ে পানি দিয়ে পেট ভরে খাওয়া যায়। তেমনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকলে গাছতলায়, খোলামাঠে মাদুরে বসে লেখাপড়া শেখা যায়। শিক্ষক না থাকলে অনেকটা বাবু মাঝি কবিতার মতো ঝড়ের সময় নৌকায় বসে সাঁতার না জেনে বিদ্যা জাহির করা ষোলো আনাই মিছে। শিশু শিক্ষার আরেকটা চ্যালেঞ্জ। ক্যাডার সার্ভিসবিহীন প্রাথমিক শিক্ষা। যার ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় মেধাবী, দক্ষ, অভিজ্ঞ জনবলের অভাব। দীর্ঘ ২২ বছর পূর্বে স্বতন্ত্র প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হলেও প্রাথমিক শিক্ষায় কোনো নিজস্ব ক্যাডার সার্ভিস গড়ে ওঠেনি।

প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার না থাকার নেতিবাচক দিকগুলো হলো: ১. প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত অধিকাংশ কর্মকর্তা বদলি ও প্রেষণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে কর্মরত থাকায় তারা তাদের নিজস্ব ক্যাডারের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও অর্জিত অভিজ্ঞতার যথাযথ প্রয়োগ করার পর্যাপ্ত সুযোগ পান না। অধিকন্তু প্রেষণে নিয়োজিত এসব কর্মকর্তাদের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলার পর প্রাথমিক শিক্ষাবহির্ভূত অন্যত্র প্রত্যাবর্তন ও পদায়নের ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতার কোনো প্রতিফলন পাওয়া যায় না।

২. বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা নিয়মিত ক্যাডারের সদস্য না হওয়ায় তাদের কোনো সুনির্দিষ্ট ক্যারিয়ার ওয়ে নেই। তাদের অধিকাংশই যে পদে চাকরি শুরু করেন সে পদ থেকেই অবসর গ্রহণ করে থাকেন।

৩. বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ ৭৭ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োজিত আছেন। এর মধ্যে ২৫৪১ জন ১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত। দেখা যায় বাকি প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য ২৬টি ক্যাডার বিদ্যমান। অথচ প্রায় ৫ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে গঠিত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র কোনো ক্যাডার বিদ্যমান নেই। ফলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণপূর্বক মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কাঙ্ক্ষিত অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে না।

৪. একটি পৃথক ক্যাডার এবং ক্যারিয়ার না থাকার কারণে উচ্চশিক্ষিত প্রতিভাবান, চৌকস ব্যক্তিবর্গ প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে আকৃষ্ট হন না। একই কারণে যোগদানকারী উচ্চ মেধাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ধরে রাখাও সম্ভব হয় না। এ কার্যক্রমের সঙ্গে ৪ লাখ ৭৭ হাজার ১২৫ জনের অধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষায় যা বাংলাদেশের সব সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ। তিন ভাগের দুই ভাগের জন্য ২৬টি বিসিএস ক্যাডার থাকলেও প্রাথমিক শিক্ষার জন্য কোনো বিসিএস ক্যাডার নেই। প্রাথমিক শিক্ষার এ ব্যাপক কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থেই বিসিএস (প্রাথমিক ক্যাডার) গঠন করা প্রয়োজন। প্রাথমিক শিক্ষার বিশাল কর্মপরিধি ও জনবলের বিস্তৃতি এবং ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা অন্যান্য ক্যাডারের তুলনায় অনেক বেশি। পৃথকভাবে প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার গঠিত হলে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষিত, প্রতিভাবান কর্মকর্তা এ সেক্টরে যোগদানের জন্য উৎসাহিত হবেন। ফলে প্রাথমিক শিক্ষার সব ক্ষেত্রে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ওই ক্যাডার সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল বাস্তবায়নের স্বার্থে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে সরকারের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।

লেখক: সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

এসএসসি পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে সনদ জালিয়াতিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে - dainik shiksha সনদ জালিয়াতিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর নবম পে-স্কেলসহ সরকারি কর্মচারীদের ১০ দাবি - dainik shiksha নবম পে-স্কেলসহ সরকারি কর্মচারীদের ১০ দাবি শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগের ভাইভা শুরু - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগের ভাইভা শুরু কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় ফের বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় ফের বৃদ্ধি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0082921981811523