সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকার বিরোধী মন্তব্য করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্র মামুন ভূঁইয়া ওরফে মারজানকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গহরডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আসামিরা হলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মামুন ভুঁইয়া ওরফে মারজান (২০) ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাচকাহনিয়া গ্রামের জিলু শেখের ছেলে জাহিদ শেখ (২৬)। অপর এক আসামি মিল্কভিটার কোম্পানির কর্মচারী তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টুঙ্গিপাড়ার ওসি এ কে এম এনামুল কবীর।
তবে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী তার অ্যাকাউন্ট থেকে করা আগের মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছেন, আমার আইডিটা হ্যাক হয়েছিল। পূর্বের পোস্টের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। মাত্র ফিরে পেলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে মামুন ভূঁইয়া ওরফে মারজান ও জাহিদ শেখ নামের দুই যুবক নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে নিয়ে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এতে বঙ্গবন্ধু, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সম্মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মামুন ভূঁইয়া ওরফে মারজানকে গহরডাঙ্গা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
মামলার বাদী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজাউল বিশ্বাস বলেন, বিবাদীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংগঠনের প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে অশ্লীল, অশালীন, কুরুচিপূর্ণ লেখনী, শব্দাবলীযুক্ত একাধিক ফেসবুক পোস্টের মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেছে। যা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে আমার মনে হওয়ায় আমি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছি।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে.এম এনামুল কবীর বলেন, এ ঘটনায় মামুন ভূঁইয়া ওরফে মারজান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।