বন্যার প্রভাব পড়েনি ধানে, সবজিতে পড়বে : কৃষিমন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

বন্যার প্রভাব পড়েনি ধানে, সবজিতে পড়বে : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার প্রভাব ধান উৎপাদনে না পড়লেও শাক-সবজি উৎপাদনে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, মাঠে এই মুহূর্তে তেমন কোনো ফসল না থাকায় ধান জাতীয় ফসল উৎপাদনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।

মন্ত্রী বলেন, এখন শাক-সবজি ছাড়া তেমন কোনো ফসল মাঠে নেই। ফলে শাক-সবজিতে প্রভাব পড়বে। আমরা এ জন্য কনসার্ন আছি।   

মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত শিরুজিমাথ সামিরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে সিলেটে পানি এসেছে। এখন তেমন কোনো ফসল ছিল না। পতিত অনেক জমি ছিল। সিলেটে ২২ হাজার হেক্টর, আর সুনামগঞ্জসহ ২৮ হাজার হেক্টরের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের ৫৬ হাজার হেক্টর জমিও আক্রান্ত হয়েছে। বন্যায় আউশের ক্ষতি হবে।   

বন্যায় শাক-সবজি উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫-৬ হাজার হেক্টরে। এ সময় গ্রীষ্মকালীন সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। তিল ও বাদাম চর এলাকায় ছিল, সেটারও ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে আউশ ও শাক-সবজির। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। এখন পর্যন্ত যা ক্ষতি হয়েছে সেটা কিছু না। যেহতু ফসলই নেই। এখন আমনটা কেমন হয়… তবে শাক-সবজির ওপরে প্রভাব পড়বে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সময় বীজতলা করা হয়, রোপা। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় ফসল। প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আমরা আমন করি। এটা থেকেই আমাদের এক কোটি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টন ধান হয়। এটা কিন্তু বন্যার ওপর নির্ভর করে। এখনও বীজতলা সেভাবে করে নাই। কেবল শুরু করেছে। আর যদি বৃষ্টি না হয় আর বন্যা যদি না বাড়ে তাহলে ভালো। তবে অনেক সময় দেখা যায় আবার বন্যা আসে, এতে বীজতলা নষ্ট হয়। তখন আমরা আবার করি, পুনর্বাসন কর্মসূচিতে যাই। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল নির্দেশ দিয়েছেন, আমনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি রাখতে। বীজতলা যদি নষ্ট হয় তাহলে আমরা যে এক্সট্রা কিছু বীজ রাখি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য, আবার বীজতলা তৈরি করে মানুষকে দেওয়া, সে প্রস্ততি আমরা নিয়েছি।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমন হলো ফটোসেনসিটিভ। দিন ছোট হলেই এতে ফুল চলে আসে। যে ধানগুলো সাধারণত আমনে করা হয় সেটা করলে ফুল আসবে আর উৎপাদন কম হবে। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানীরা জাত উদ্ভাবন করেছেন যেগুলো লেস ফটোসেনসিটিভ। এগুলো বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি। যে পরিস্থিতিই আসুক, যদি আমন নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে রবি ফসল আমাদের বাড়াতে হবে। শাক-সবজি, আলু, তেলের বীজ ও সার আমরা বিনামূল্যে চাষিদের দেবো। এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।

শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.021489143371582