কাশ্মীরের মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে আসার ভিসা পাচ্ছে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মানবজমিনের এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলেও উল্লেখ করেছে মানবজমিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ভিসা দিচ্ছে না মর্মে যে সংবাদ চাউর হয়েছে তা সর্বাংশে সত্য নয়। ১২ই জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ সংক্রান্ত রিপোর্ট মিথ্যা বলে প্রত্যাখান করেছিলেন। কিন্তু কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, ভর্তি প্রক্রিয়ার কিছু কাজ বাকী থাকার কারণে ভিসা ইস্যুতে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয়
প্রতিবেদন আরও বলা হয়, কারও ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়নি, বরং ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় আবেদনগুলো ঝুলে ছিল। সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে ‘ভর্তি কার্যক্রম অসম্পূর্ণ রেখেই’ ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। প্রশ্ন ওঠেছে, কী কাজ অসম্পূর্ণ রেখে ভিসা প্রদানের নির্দেশনা দিলো ঢাকা। জবাবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন- আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের জমাকৃত কাগজপত্র যাচাই এবং তারা যে সিস্টেমে ‘হাইয়ার সেকেন্ডারি’ পড়েছেন বাংলাদেশের এইচএসসিতে পড়ানো বিষয়গুলোর সঙ্গে তার কোন ভিন্নতা আছে কি-না? সেটির মূল্যায়ন এবং সদন, মার্ক যথাযথ হওয়ার পরই ভিসা ইস্যু হয়। কিন্তু সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের প্রেক্ষিতের এবার আগে ভিসা, পরে সনদের যথার্থতা যাচাই’র সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট এবং ঢাকার ভাষ্য: ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নর্থইস্টনাউ-এ নিয়ে সর্ব প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করে। অনলাইনে ‘কাশ্মীরী মেডিকেল স্টুডেন্টস রাশিং অল অভার ফর বাংলাদেশ ভিসা’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টটির বরাতে অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমেও খবরটি প্রচার হয়। সেই রিপোর্টে বলা হয়- বাংলাদেশে প্রবেশের ভিসা পেতে ব্যর্থ হয়ে প্রায় সাড়ে তিনশ কাশ্মীরী মেডিক্যাল শিক্ষার্থী এক মাস ধরে দিল্লি, কলকাতা, গোয়াহাটি ও আগরতলায় আটকে আছেন। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা ছাড়াই ভিসা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন রিপোটটির লেখক কলকাতার সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক।
২০১৯-২০ খ্রিষ্টাব্দের ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- আবেদনপত্র বর্তমানে যাচাই বাছাই ও মার্কস সমতাকরণসহ অন্যান্য কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিন্তু ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু অসাধু ব্যক্তি / প্রতিষ্ঠান মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রাপ্তি বিষয়ে সম্পূর্ণ বানোয়েট অবিবেচনাপ্রসূত এবং দূরভিসন্ধিমূলক প্রচারণা বিভিন্ন ওয়েব পোর্টালে প্রচার করছে। সেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন যাচাই বাছাই সাপেক্ষে ৩১ জানুয়ারি নাগাদ বিদেশি শিক্ষার্থীদের মেডিকেল ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবার কথা জানানো হয়েছিল।