বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই শেকৃবিতে ১৯ শিক্ষক নিয়োগ - দৈনিকশিক্ষা

বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই শেকৃবিতে ১৯ শিক্ষক নিয়োগ

শেকৃবি প্রতিনিধি |

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়াই ১৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে উপাচার্য কামাল উদ্দিন দাবি করেছেন, সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষেই তিনি তাদের নিয়োগ দিয়েছেন।

এর আগে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদে সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে ৭৫ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। 

বিভিন্ন বিভাগের মৌখিক পরীক্ষার পর গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ১০১ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়, যা বিজ্ঞাপিত চাহিদার চেয়েও প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি ছিল। এ সময় শিক্ষক নিয়োগের পর ইউজিসির আইনে না থাকলেও ২১ জনকে অপেক্ষমাণ রাখা হয়। যা 'আইনের পরিপন্থি' বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন ইউজিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। নিয়মবহির্ভূতভাবে তৈরি করা  সেই অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এই ১৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার ইউজিসির সদস্য ড. শাহনেওয়াজ আলী সাংবাদিকদের জানান, মঞ্জুরি কমিশন গত জুন মাসে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ১৯টি নতুন পদের অনুমতি দিয়েছে। তবে এ জন্য অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন নিয়োগ দিতে হবে। যদি বিজ্ঞপ্তি দেয়া না হয়, তা হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ বলে গণ্য হবে। ইউজিসির পক্ষ থেকে এ ধরনের নিয়মবহির্ভূত নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ যদি এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, কমিশন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এ ব্যাপারে ইউজিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অধ্যাপক আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ইউজিসির আইনে কোনো কন্ডিশনাল (শর্তসাপেক্ষে) নিয়োগ দেয়ার বিধান নেই। যাদের অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে, তাদের নিয়োগ দিতে হলে আগেই অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু ইউজিসির আইনে না থাকায় তাদের এ ক্ষেত্রে কোনো রকম অনুমতি দেয়া যাবে না।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ দাবি করেছেন, নিয়মের বাইরে গিয়ে তিনি কিছুই করেননি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কীভাবে নিয়োগ দিলেন- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের অনুমোদন নিয়েই ১৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। এতে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038228034973145