দাবি পূরণে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ১৬ দফা দাবি পূরণের বিষয়ে শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নোটিশ পেলে শনিবার থেকে তারা ক্লাসে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে বুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষামন্ত্রীর ডা. দীপু মনির সাথে শিক্ষার্থীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টায় শিক্ষামন্ত্রী বুয়েটে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বলেন, বুয়েট আমাদের গর্বের একটি প্রতিষ্ঠান। যারা এখানে পড়াশোনা করেন তাদের অভিভাবকরাও সন্তানদের জন্য গর্ববোধ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের যেসব দাবি তার সবগুলোই যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসব বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হয়ে থাকে। তবে উপাচার্য চাইলেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তার সমাধান করতে পারতেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার থেকে ষোলটি দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে তারা নেমে আসেন রাস্তায়। ভিসি ও প্রশাসনবিরোধী স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস।
গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুরে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সমাবেত হন। এরপর তারা মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে উপাচার্য ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন।
চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া শুনতে বৃহস্পতিবার বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এজন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বুয়েট ক্যাফেটারিয়ার সামনে জড়ো হয়ে মন্ত্রীর অপেক্ষায় থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে আসার কথা থাকলেও দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি আসেননি। শিক্ষামন্ত্রীর আসা নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি হলেও বিকাল সাড়ে ৩টায় উপস্থিত হন তিনি।
দীপু মনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের সঙ্গে এক ধরনের ফারাক তৈরি হয়েছে। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করব। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের সংকট আর সৃষ্টি হবে না।