আবেদন-নিবেদনের পথ ছেড়ে আন্দোলনে নেমে এলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিকের শিক্ষকরা। রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য অভিজ্ঞ শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রোববার এক মিছিলের আয়োজন করে প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি সংগঠন 'ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেইনড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন' (ডাব্লুবিপিটিটিএ)। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক প্রশিক্ষিত শিক্ষক সমিতির সমাবেশটি হাজরা ক্রসিং থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন পর্যন্ত পৌঁছলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে মিছিলটি। মিছিল থেকে মোট ১২ জনকে আটক করে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
পুলিশের এক অফিসার বলেন, 'সমাবেশকারীরা হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন, তারা আশুতোষ কলেজের সামনে এলেই তাদের বাধা দেয়া হয়। মিছিলে থাকা ১২ জনকে প্রাথমিকভাবে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। পরে অবশ্য তাদের ব্যক্তিগত বন্ডে সই নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।'
ডাব্লুবিপিটিটিএ'র সভাপতি পিন্টু পাড়ুই দাবি করেন, 'রোববার সকালে সংগঠনের প্রায় ১০০ জন সদস্য প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য প্রবীণ শিক্ষকদের গ্রেড বেতন বাড়িয়ে ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ১০০ রুপি করার দাবিতে হাজরাতে সমবেত হন। গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্মারকলিপি দিয়ে সাক্ষাৎ করা সত্ত্বেও তাদের দাবি পূরণে এখনও কোনও তৎপরতা নেয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে।'
শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'আমি ইতোমধ্যেই তাদের সঙ্গে (ডাব্লুবিপিটিটিএ) সাক্ষাৎ করেছি এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে আমরা তাদের যেসব দাবি বাস্তবায়নযোগ্য তা পূরণ করব। তারপরেও তাঁরা কেন এই সমাবেশে করলেন তা বুঝতে পারছি না।'
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে গ্রেড পে ২৬০০ টাকা ৩৬০০ টাকা করা হয়েছে। নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির এক অনুষ্ঠানে বেতন বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।