বেসরকারি মেডিকেলে অস্থায়ী শিক্ষক ২৫ শতাংশের বেশি নয় : খসড়া অনুমোদন - দৈনিকশিক্ষা

বেসরকারি মেডিকেলে অস্থায়ী শিক্ষক ২৫ শতাংশের বেশি নয় : খসড়া অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক রাখতে হবে। ২৫ শতাংশের বেশি খণ্ডকালীন (অস্থায়ী) শিক্ষক রাখা যাবে না।

এ বিধান রেখে ‘বেসরকারি মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজ আইন-২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি অষ্টম পর্বে সম্প্রসারণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী মেট্রোপলিটন এলাকায় মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ স্থাপনে দুই একর ও অন্যান্য এলাকায় চার একর জমি থাকতে হবে।

এতদিন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো চলতো দুটি নীতিমালার মাধ্যমে। একটি ছিল ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালন নীতিমালা-২০১১’ ও ‘বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালন নীতিমালা- ২০০৯’।

এখন দেখা যাচ্ছে নীতিমালা দিয়ে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই খসড়া আইনে প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের অনুপাত ১:১০ রাখার কথা বলা হয়েছে।

আর মিনিমাম ছাত্র হতে হবে ৫০ জন। ২৫ ভাগের বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষক রাখা যাবে না, ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে। যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে তবে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে খসড়ায়।

এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া যেতে পারে। শর্তপূরণ না করলে অনুমোদন বাতিল হবে। রিজার্ভ ফান্ড হিসেবে মেডিকেল কলেজগুলোতে তিন কোটি ও ডেন্টাল কলেজগুলোকে দুই কোটি টাকা রাখতে হবে।’

খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘মেডিকেল চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটা ব্যবস্থা রাখতে হবে। চিকিৎসা বর্জ্যগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, নরমাল যে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সেখানে ফেললে হবে না। সেখানে থেকে ভাইরাস বা রোগ-জীবাণুর ব্যাপক প্রসার হতে পারে।

এ জন্য মেডিকেল কলেজগুলোকে মেডিকেল বর্জ্য ডিসপোজালের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তারা যে জমি নেবে তা অবশ্যই নিষ্কণ্টক থাকতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় দুই একর ও অন্যান্য স্থানে চার একর জমি থাকতে হবে।

জমি না থাকলে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ অনুমোদন পাবে না। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ডেন্টাল কলেজের জন্য অবশ্যই দুই কোটি টাকা রিজার্ভ ফান্ড থাকতে হবে। ডেন্টাল কলেজের নামে সংরক্ষিত তহবিলে কমপক্ষে এক কোটি টাকা তফসিলি ব্যাংকে থাকতে হবে।

মেডিকেল কলেজের ১০ শতাংশ শয্যা গরিব রোগীদের জন্য বিনা পয়সায় চিকিৎসার জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। মেডিকেল কলেজগুলোতে কমপক্ষে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ও ডেন্টালে ৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যেই বিভাগে যে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ থাকবে, তা সেই বিভাগের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে। ঢাকা বিভাগের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে। যেখানে নেই সেখানে সার্কুলার দিয়ে বলে দেয়া হবে, তারা কোন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে।’

দেশে বর্তমানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৭০টি, ডেন্টাল কলেজ ২৬টি। সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৬টি এবং একটি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040829181671143