প্রথমেই আমি আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানাই। আপনি একজন জনবান্ধব ও সফল প্রধানমন্ত্রী। আপনার শাসনামলে অনেক অসাধ্য সাধন করেছেন যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ জন্য দেশবাসী আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ ও ঋণী। আমি একজন শিক্ষক পরিবারের সন্তান ও অভিভাবক হিসেবে দেখেছি আপনি শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এনেছেন।
কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। কারণ যাদের সন্তানরা ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে তাদের মাসিক বেতন ২০০ থেকে ২০০০ টাকা, প্রতিবছর ভর্তিসহ অন্যান্য ফি বাবদ ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে হয়। যেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ৩০ টাকা এবং ভর্তি ও অন্যান্য ফি বাবদ ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা পরিশোধ করে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।
আপনি অতি সহজেই বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সরকারিকরণ করে কৃতিত্বের দাবিদার হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ১০০ টাকা এবং প্রতিবছর ভর্তিসহ অন্যান্য ফি বাবদ ৩০০০ টাকা নির্ধারণ করলে বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সরকারিকরণ করা সম্ভব। এতে সরকারি শিক্ষাখাতের বাজেটের উপর তেমন কোন বাড়তি চাপ পড়বে বলে মনে হয় না। ভর্তিসহ অন্যান্য ফি সরকারি কোষাগারে জমা হলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দূর হবে এবং শিক্ষা প্রশাসন দূর্নীতিমুক্ত হবে। ফলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক অভিভাবক ও দেশবাসী আপনার প্রতি সন্তষ্ট ও কৃতজ্ঞ থাকবে। আশা করি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণ করে কৃতিত্বের দাবিদার হবেন। সমাজের একজন সাধারণ শিক্ষকের আবেদনটি বিবেচিত হলে জাতি উপকৃত হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। পরিশেষে, আপনার অনবদ্য সাফল্য, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
লেখক : ড. উত্তম কুমার সরকার, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (ইংরেজি), শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ।