ব্যারিস্টার সুমন নামে ফেসবুকে পরিচিত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন এবং ইশরাত হাসানের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকা ভুক্তিকরণ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার পর হাইকোর্টের একজন বিচারপতির ছেলে জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিটের শুনানির সময় আদালত অবমাননার রুল জারি করলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন সাংবাদিকদের বলেন, অনেক আগে হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে নিয়ে আমার ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছিলাম, এ কারণে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন।
আর ইশরাত হাসান বলেন, আমি কবি সুকুমার রায়ের ‘বিচার কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি ফেসবুকে লিখেছি। আদালত মনে করেছেন এটা অবমাননা হয়েছে, তাই রুল জারি করেছেন।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকা করে জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২১ নভেম্বর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় বারবার অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেনি হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে গত ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
তাই রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১(১)(খ) ও ৩০(৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।