নাটোরের বড়াইগ্রামে সোমবার (৫ নভেম্বর) নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারায় পরীক্ষা দিতে পারেনি ৪ শিক্ষার্থী। উপজেলার বনপাড়া সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষা দিতে না পারা ৪ জনই দেওশিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা পুরাতন পরীক্ষার্থী হিসাবে এবার পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছিল।
দেওশিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়া দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, স্কুলের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সুমাইয়া, লাবনী, সজিব ও মোহন নামে ৪জন গত বছর ফেল করায় এবার পুনরায় পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এবার পরীক্ষায় বিষয় পরিমার্জন করে বাংলা, ইংরেজি ৪ পত্রকে কমিয়ে ২ বিষয় করা হয়েছে। কিন্তু পুরাতনদের ক্ষেত্রে ২ পত্রই বিদ্যমান রয়েছে। সোমবার ছিল পুরাতনদের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা। রোববার ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় তারা ভেবেছিল দুই পত্রই স্থগিত হয়েছে। তাদের এ ভুল ধারনার ফলে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তবে একটু দেরিতে হলেও কেন্দ্র সচিব চাইলে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের অনুমতি দিতে পারতেন।
কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ লাজারুশ রোজারিও দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, নির্দেশনা রয়েছে সাড়ে ৯ টায় অবশ্যই সকল পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। ওই চারজন ১০টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রে এসেছে। বিধি মোতাবেক বিষয়টি ইউএনওকে অবহিত করা হয়। সেখান থেকে অনুমতি না পাওয়ায় আমার পক্ষেও অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বলেন, যে শিক্ষার্থী পরীক্ষার রুটিনই জানে না। আবার পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা পরে কেন্দ্রে হাজির হয় তাকে কেমন করে পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া যায়।