নীলফামারীর জলঢাকায় ইউ’পি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় পাঠানপাড়া এম.ইউ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ রুহুল আমিন আজাদকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন,‘‘অভিযোগের পর পুলিশ তদন্তে গিয়েছিল,মোবাইলে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সত্য,তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই মূলত এ ঘটনা।’’
গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ০১৭৪৪৪৬১৪১৮ নম্বর থেকে তাকে মোবাইলে কল দিয়ে টাকা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায়। এঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক ও মীরগঞ্জ ইউ’পির সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর হুকুম আলী খানের ছোট ভাই আনিছুর রহমান।
জানা যায়, হুমায়ন কবীর হুকুম আলী খান যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক পদে থাকা অবস্থায় হয়ে যাওয়া তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন তিনি। কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা যুবলীগ হতে বহিষ্কার করা হয় তাকে।
এদিকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ আলিম।
ডায়েরিতে হতে জানা যায়, ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা ২৩ মিনিটে পাঠানপাড়া কিসামত এলাকার মৃত ইজবুল আলীর ছেলে হামিদুল ইসলামের ব্যবহৃত ০১৭৪৪৪৬১৪১৮ নম্বর থেকে পাঠানপাড়া দলবাড়ি এলাকার মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে ও সাবেক ইউ’পি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর হুকুম আলী খানের ছোট ভাই আনিছুর রহমান মাদরাসা অধ্যক্ষ রুহুল আমিন আজাদের মোবাইলে কল দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এবং টাকা না দিলে তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করেন।
প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে মাদরাসা অধ্যক্ষ রুহুল আমিন আজাদ বলেন,‘‘ আমার ফোনে হুমকি আসার পর থেকে আমার পরিবারসহ আতংকে রয়েছি। আর সাবেক চেয়ারম্যানের ভাইয়ের সাথে আমার কোন প্রকার লেনদেনও নেই,তাকে এত টাকা চাঁদা কিভাবে দেবো।
’’অভিযুক্ত আনিছুর রহমানের বড় ভাই ও সাবেক মীরগঞ্জ ইউ’পি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর হুকুম আলী খান বলেন,‘‘আমি হুকুম আলী চেয়ারম্যান বলছি,মোবাইলে হুমকির বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষ মামলা করলে তার বিরুদ্ধে আমিও ৫০ টা মামলা করবো, সে মাদরাসা মাঠে দাড়াতেই পারবে না। ভোটের সময় আমার ছোট ভাইয়ের বউ অধ্যক্ষের বাড়িতে গেলে তারা তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ভোটে পরাজিত হওয়ার পর সেজন্যই রাগের মাথায় আমার ছোট ভাই অধ্যক্ষকে হুমকি দিয়েছে এজন্য আমি তাকে বকা দিয়েছি।’’
