মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয় - দৈনিকশিক্ষা

মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয়

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

আবরার হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলেছেন, ছাত্ররা কয়েক দশক আগেও রাজনীতি করত আদর্শের জন্য। এখন তারা রাজনীতি করে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। রাজনৈতিক দলগুলোই পরিচালনা করে ছাত্রসংগঠনগুলো। রাজনৈতিক দলের ইন্ধনেই চর দখলের মতো তারা বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চা যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ। রোববার (১৩ অক্টোবর) সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন খন্দকার মুনতাসীর মামুন।

নিবন্ধে আরও বলা হয়, আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বর্তমান ছাত্র রাজনীতির কদর্য দিকটি নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আর এ প্রেক্ষাপটে মূল ভূমিকা রেখেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। অবশ্য শুধু যে আবরার হত্যার পরই ছাত্রলীগের এমন দুষ্কর্মের খবর মিলল তা নয়। এর আগেও বহু অপকর্মের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা ছিল। এমন দুয়েকটি ঘটনা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফসানা ইভা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে রাত ১১টায় হল থেকে বের করে দেয়া হয়। তার জিনিসপত্র পুড়িয়ে দেয়া হয়। পরের দিন সকাল ৯টা থেকে এর প্রতিবাদে হলের সামনে একটি প্ল্যাকার্ড এবং ব্যাগ, বালিশ এবং বিছানা নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন ইভা। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ছাত্রলীগ কর্তৃক হল থেকে বের করে দেয়ার প্রতিবাদে আমরণ অনশন’। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তিনি অনশন ভাঙেন এবং হলে ফিরে যান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফল প্রকাশসহ নানা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন। তারা ভিসির কার্যালয়ও ঘেরাও করেন। গত বছরের ২২ জানুয়ারি তাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এর প্রতিবাদে এবং হামলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে ২৩ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’ উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে। তারা গেট ভেঙে উপাচার্যকে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উদ্ধার করেন। এ উদ্ধার অভিযানে তারা প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারপিট করেন। বিশেষ করে ছাত্রীদের মারপিটের দৃশ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি হলেও ছাত্রলীগ উল্টো হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের বিচার দাবি করেছে।

কিন্তু ছাত্রলীগ বা ওই সংগঠনের নেতাকর্মীদের এসব দৃশ্য ছাত্র রাজনীতির ঐতিহ্য নয়। ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্র আন্দোলনের আছে সোনালি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বিশেষ করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬ দফা ও ১১ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনসহ প্রতিটি ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক বিজয়ে ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্র আন্দোলন সামনে থেকে ভূমিকা রেখেছে। ছাত্ররাই ইতিবাচক আন্দোলনের সূচনা করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও এ দেশের ছাত্র রাজনীতির রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক ভূমিকা।

তাহলে কেন এমন হলো? ছাত্র রাজনীতির মূল কাজ তো ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কাজ করা, ছাত্রদের দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরানো। ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ তা না করে কেন ছাত্রদের পেটাচ্ছে, র‌্যগিং করছে, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-লেজুড়বৃত্তি করছে। কেন গুণ্ডামি-পাণ্ডামি, দখলবাজি এবং পদলেহনের মতো অপসংস্কৃতি ছাত্র রাজনীতির অভ্যন্তরে প্রবেশ করল?

স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গৌরবধারায় একটি ফাটল তৈরি হতে থাকে। বঙ্গবন্ধু গতিসঞ্চারের জন্য কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ পাস করিয়ে আনেন। বাহ্যিকভাবে একটি গণতান্ত্রিক ধারা তৈরি হয়। একই সঙ্গে অধ্যাদেশের অপব্যবহারের পথও কোনো কোনো মহল তৈরি করতে থাকে। শিক্ষকরা রাজনীতি করার অধিকার পেলেও একে মুক্তচিন্তা বিকাশের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারলেন না। ক্রমে ক্ষমতাপ্রেমী জাতীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিকে কলুষিত করতে থাকে। সিংহভাগ শিক্ষক নিবেদিতপ্রাণ হওয়ার পরও তারা অন্তরালে চলে যেতে থাকেন দাপুটে রাজনীতিবাজদের সদম্ভ পদচারণার তোড়ে। অবশিষ্ট ছাত্র রাজনীতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের মুক্ত চিন্তাধারাকে কণ্টকাকীর্ণ করে তোলে। ’৭৩ সালে ডাকসুর নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে ছাত্রদের মধ্যে অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব-কলহ দানা বাঁধে।

১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান রাজনীতিকে জটিল করে দেয়ার অভিপ্রায়ে পা ফেলতে গিয়ে অনেকটা প্রকাশ্যেই দলীয় লাঠিয়াল বানানোর কাজ সম্পন্ন করেন। অস্ত্র আর অর্থ তুলে দেন ছাত্রদের হাতে। নষ্ট রাজনীতির ঘেরাটোপে ফেলে ছাত্রদের নষ্ট করার প্রক্রিয়া এরশাদ আমলেও লক্ষ্য করা গেছে। ক্ষমতার রাজনীতিতে থাকা যুদ্ধংদেহী আর কোনো রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা অন্ধকার থেকে ছাত্র রাজনীতিকে টেনে আনেননি। বরঞ্চ এদের এমন এক জীবে পরিণত করেছেন যে, পেশাজীবনে এসেও তারা নিজেদের নষ্ট চরিত্র বদলাতে পারেননি।

গত তিন দশকে ছাত্র রাজনীতির চারিত্রিক ও গুণগত মান ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। ’৭৫-এর পটপরিবর্তন, সামরিক শাসনগুলো ছাত্র রাজনীতিকে বৈষয়িক স্বার্থকেন্দ্রিক করে তোলে। ওই সময়ে ছাত্র রাজনীতি তার চিরায়ত গণমুখী ঐতিহ্য বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতামুখী দৃষ্টিভঙ্গি দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে শেখে। তাই ছাত্র রাজনীতি আর আধিপত্যের সম্পর্ক একটি আরেকটির অভিযোজন প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃত হয়ে পড়ে। হারিয়ে যাওয়া ছাত্র রাজনীতির সর্বোচ্চ হাতিয়ার ছিল লেখাপড়া, বইখাতা, কাগজ-কলম। আর এখনকার ছাত্র রাজনীতির হাতিয়ার হলো- মদ, গাঁজা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভাড়ায় শক্তি প্রদর্শন, মাদক বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, হলে সিট বাণিজ্য, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, কাটা রাইফেল, রিভলবার। এগুলোর পরে যদি সম্ভব হয় তাহলে কিছুটা লেখাপড়া আর নামকাওয়াস্তে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শুধু ছাত্রত্ব ধরে রাখার জন্য। তাও নাকি বর্তমান সময়ের ছাত্রনেতারা নিয়মিত করেন না। যথাসময়ে পাস করে বের হয়ে গেলে নাকি পদ-পদবিপ্রাপ্ত নেতা হওয়া যায় না। যারা বর্তমান ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্বে রয়েছেন, তাদের প্রথমেই হতে হবে অপেক্ষাকৃত মেধাশূন্য অথবা ভান করতে হবে কিছুই জানে না এমন- হতে হবে ভালো চামচা, থাকতে হবে পেশিশক্তি ও সন্ত্রাস সৃষ্টির সামর্থ্য। এগুলো থাকলেই উপরের আশীর্বাদ পাওয়া যাবে এবং ‘উজ্জ্বল’ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা মিলবে।

ক্যাম্পাসে বিএনপি আমলে ছাত্রদল আর আওয়ামী লীগ আমলে ছাত্রলীগের আচরণে কোনো ফারাক আমরা আমাদের বাস্তব পর্যবেক্ষণে দেখি না। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। এককালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছে। ছাত্রলীগেরও মহান গৌরব রয়েছে। কিন্তু এখন যখন সন্ত্রাস ও অশিষ্ট আচরণে ছাত্রদলের ঐতিহ্যকেও তারা ছাড়িয়ে যেতে চায়, তখন এদের ওপর দলীয় শাসন কোথায়! কোনো বড় অনাচার করে ফেললে মিডিয়া যখন সরব হয়, দেশের মানুষ যখন ছি ছি করতে থাকে, তখন আইওয়াশের মতো অ্যাকশন নিতে দেখি। কিন্তু কয়েক দিন গেলেই সব শেষ। যেমন ছিল তেমন আগ্রাসী মূর্তিতেই বারবার হাজির হয় ছাত্রলীগ। বিশ্বজিৎ, আবু বকর, আবরারদের নামের তালিকা বাড়ে। তাহলে সমাধান কোথায়?

আমরা কখনই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কথা বলব না। যেহেতু ছাত্ররা সমাজের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ সচেতন অংশ, সেহেতু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ছাত্রসমাজের বিশেষ ভূমিকা অনিবার্য হয়ে পড়ে। এই ছাত্র রাজনীতি এতকাল আড়ালে ছিল বলেই তো চাটুকার, ব্যবসায়ী কিংবা আমলা শ্রেণীর মানুষ রাজনীতিতে ঢুকে টাকা পাচার করেছে। কেউ ডাক্তার হতে চান, ইঞ্জিনিয়ার হতে চান; অথচ তাদের যারা নিয়ন্ত্রণ করবে, নেতৃত্ব দেবে সেই মন্ত্রী-এমপিরা হবে টোকাই সেলিম, গালকাটা হান্নান কিংবা যে কখনো চায়ের দোকানে বসে চা খায়নি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে গা ঘেঁষে দাঁড়ায়নি সেই আমলা। ছাত্র রাজনীতি হল রাজনীতির সূতিকাগার। এখন যেটা চলছে সেটা ছাত্র রাজনীতি নয়, অপরাজনীতি, ক্ষমতাবাজি, পদলেহন। সুস্থধারার ছাত্র রাজনীতির চর্চা ছিল বলেই বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর হয়েছিল। মাথা ব্যথা বলে মাথা কেটে ফেলা ঠিক নয়।

ছাত্র রাজনীতিই আগামীর ভ্যানগার্ড। তবে সেটা হতে হবে সুস্থধারার, প্রগতিশীলতার। তাদের মূল কাজ হওয়া উচিত ছাত্রদের অধিকারের বিষয়ে কথা বলা, শিক্ষাঙ্গনকে কলুষতামুক্ত করা। এজন্যই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদেরও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে আইন করেই ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক বন্ধ করে দেয়া উচিত। এখন যে ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে, তা মানুষকে কাঁদাচ্ছে, মেরে ফেলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে রাজনীতি হচ্ছে, তা শিক্ষার্থীদের কোনো উপকারে আসছে না। যে অপরাজনীতি মানুষ হত্যা করে, সেই রাজনীতি বন্ধের ব্যাপারে এখনই উদ্যোগ নেয়া উচিত। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, গুণ্ডামি-পাণ্ডামি, লেজুড়বৃত্তি কিংবা অপরাজনীতির সঙ্গে সুস্থধারার ছাত্র রাজনীতিকে এক করা যাবে না।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৯০(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র বা শিক্ষক; কোনো আর্থিক, বাণিজ্যিক বা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বা শ্রমিক এবং অন্য যেকোনো পেশার সদস্যদের নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন করা নিষিদ্ধ। এ বিধান না মানলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধনও বাতিলের পদক্ষেপ নেয়ার এখতিয়ার আছে নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু বাস্তবে এ বিধান কার্যকর হচ্ছে না। ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের এবং ছাত্রদল বিএনপির সহযোগী সংগঠন হিসেবেই এখনো পরিচিত। শিক্ষকদের মধ্যে নীল-সাদার বিভাজন শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নয়নের বিপরীতেই কাজ করছে বলে অনেকের বিশ্বাস। আদর্শ বিসর্জন দিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলো এখন পেটোয়া বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। শিক্ষকদের রাজনীতি-সংশ্লিষ্টতাও নষ্ট করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ। কাজেই এসব বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়ার এখনই সময়।

আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন ও মেধাবী ছাত্রদের নেতৃত্বে আসার সুযোগ বন্ধ থাকার কারণেই ছাত্র রাজনীতি বর্তমান সময়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো ভালো কাজ সফলতার মুখ দেখে না। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি যে দলই ক্ষমতায় থাকুক, সরকার ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ছাত্র সংগঠন এমন অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও একচ্ছত্র আধিপত্য তৈরি করে রাখে, যেখানে প্রতিযোগিতার কোনো পরিবেশ থাকে না। যেখানে ভিন্নমত, ভিন্নদল থাকবে না, সেখানে মেধাবী নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে না। ছাত্র রাজনীতিকে আবার যোগ্য নেতৃত্বের সূতিকাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে সব রাজনৈতিক মত ও দলের সহাবস্থান নিশ্চিত করা জরুরি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, প্রতিযোগিতার সংস্কৃতিই পারে ছাত্র রাজনীতিকে সাধারণ মানুষের কাছে আবার গ্রহণযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে।

আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি - dainik shiksha আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে - dainik shiksha সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড - dainik shiksha মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি - dainik shiksha ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ - dainik shiksha শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00394606590271