করোনা ভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে সব কিছু স্থবির হয়ে পড়েছে। থেমে থেমে জীবন চলছে। কেউ কেউ অনাহারে অর্ধাহারে জীবন কাটাচ্ছেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রায় একটা বড় অংশ এর বাইরে নয়। যারা এতদিন টিউশনি বা বাড়তি কিছু অর্থ আয় করত তারাও আজ ঘরবন্দি। নেই কোনো বাড়তি আয়।
এর মধ্যে যারা বেতনের বিপরীতে লোন নিয়েছেন তারা খুব কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। লোনের কিস্তি স্থগিতে কিছুটা স্বস্তি পেলেও, পরে স্থগিত লোনের সুদের বোঝা বইতে হবে শিক্ষকদের। এভাবে দিন কাটছে কোনোরকমে, যা হয়ত অনেকেরই অজানা।
এই করোনাকালে যদি পরীক্ষার খাতা দেখার সম্মানীটা পাওয়া যেত তাহলে কিছুটা উপকার হতো। দীর্ঘ দেড় বছর পার হতে চলেছে এখনও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের দাখিল পরীক্ষার খাতা দেখার টাকা শিক্ষকরা পেল না। এমনকি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জেডিসি পরীক্ষার খাতা দেখার সম্মানীও কম দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পরবর্তী চেকে সমন্বয় করা হবে, সে চেকটাও আজও শিক্ষকরা পেল না।
মাদরাসা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব, খাতা দেখার সম্মানী দ্রুত পরিশোধ করা হবে, আপনাদের এই আশ্বাসে শিক্ষকরা সোনালী ব্যাংকে হিসাব খুলল, কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হলো না। এদিকে, অনেকের ব্যাংক একাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ হয়ে গেছে।
শিক্ষকরা কষ্ট করে দূর-দূরান্ত থেকে এসে যথাসময়ে যখন তাদের সম্মানীটা না পায় তা খুব লজ্জাজনক। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত দাখিল ও জেডিসির সম্মানীর টাকা পরিশোধ করার জোর অনুরোধ রইল।
লেখক : মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী শিক্ষক (গণিত), দূর্গাপুর হাজী মোবারক আলী দাখিল মাদরাসা, বরিশাল সদর, বরিশাল।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন।]