মাধ্যমিকে ৭০ শতাংশ পাস করলে এমপিও - দৈনিকশিক্ষা

মাধ্যমিকে ৭০ শতাংশ পাস করলে এমপিও

শফিকুল ইসলাম |
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতন ভাতার সরকারি অংশ) পেতে হলে শহর অঞ্চলে ন্যূনতম ৬০ জন শিক্ষার্থীকে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। পাসের হার ন্যূনতম ৭০ শতাংশ হতে হবে। আর মফস্বলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০ জন শিক্ষার্থীকে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে এবং পাসের হার ন্যূনতম ৭০ শতাংশ। এমপিওর প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালায় জনবল কাঠামোতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (৬ষ্ঠ-দশম) ১৬ জন থেকে ৯ জন বাড়িয়ে ২৫ জন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিকশিক্ষার হাতে থাকা খসড়া নীতিমালায় এসব তথ্য রয়েছে।
 
নীতিমালায় বিদ্যমান প্রধান শিক্ষক পদ সংখ্যা ১টি থাকছে। সহকারী শিক্ষক(বাংলা), সহকারী শিক্ষক(ইংরেজি),সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান), সহকারি শিক্ষক(ব্যবসায় শিক্ষা) পদ সংখ্যা ১টি। তবে এ ক্ষেত্রে ১টি পদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। 
 
-------------------------------------------

আরও পড়ুন: নিম্ন মাধ্যমিকে পদ বাড়ছে ১০টি 

-------------------------------------------

সহকারী শিক্ষক( তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি)পদ সংখ্যা ১টি। সহকারী শিক্ষক (গণিত) সহকারী শিক্ষক ( ভৌত বিজ্ঞান)পদ সংখ্যা ১টি। তবে এ ক্ষেত্রে ১টি পদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক( ধর্ম)পদ সংখ্যা ১টি। সহকারী শিক্ষক(কৃষি)সহকারী শিক্ষক(গার্হস্থ্য),পদ সংখ্যা ১ তবে এ ক্ষেত্রে ১টি পদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক( চারূ ও কারূকলা) ,পদ সংখ্যা ১ তবে এ ক্ষেত্রে ১টি পদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
সহকারী শিক্ষক (জীব বিজ্ঞান), পদ সংখ্যা ১।সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার, পদ সংখ্যা ১।কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, তবে এ ক্ষেত্রে ১টি পদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, পদ সংখ্যা ১টি।ল্যাব সহকারী, পদ সংখ্যা ১টি। অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা কর্মী, মালী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নৈশ প্রহরী, পদ সংখ্যা ১ তবে এ ক্ষেত্রে ১টি পদ বৃদ্ধির  প্রস্তাব করা হয়েছে। আয়া(বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য)।
 
--------------------------------------------------------------------------

আরও পড়ুন: ৩৫ বছরের পর শিক্ষকতা নয়, ৬০ বছরে অবসর বদলি করা যাবে

--------------------------------------------------------------------------

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে ১০০ নম্বরের মধ্যে দেয়া গ্রেডিংয়ের ভিত্তিতে। একাডেমিক স্বীকৃতির বয়স, শিক্ষার্থী সংখ্যা, পরীক্ষার্থী সংখ্যা এবং উত্তীর্ণের সংখ্যা- এ চারটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে দেয়া হবে। নীতিমালায় অসত্য তথ্য দিয়ে বা জালিয়াতি করে এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান প্রতিষ্ঠান ও পরিচালনা কমিটি দায়ী থাকবেন বলে উল্লেখ আছে। এ ক্ষেত্রে ‘যথোপযুক্ত আইনানুগ’ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ থাকলেও সেটা কী তা বলা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্যতা, স্বীকৃতি/অধিভুক্তি, জনবলকাঠামোর আরোপিত শর্ত, কাম্য শিক্ষার্থী-ফলাফল, পরিচালনা কমিটি না থাকলে এমপিও দেয়া হবে না। এনটিআরসিএ’র মেধাতালিকা থেকে নিয়োগ না দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এমপিও পাবেন না।
 
নীতিমালা অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বার্ষিক কাজের মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সামঞ্জস্য রক্ষা করা হবে। প্রত্যেক শিক্ষকের নিজ মূল বিষয়ের বাইরে আরও ২টি বিষয়ে পাঠদানের দক্ষতা থাকতে হবে।
 
নীতিমালায় আরও বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠানে শিফট চালু আছে, সেগুলোয় প্রতি শিফটের একেক শ্রেণীতে কমপক্ষে ১৫০ জন করে ছাত্রছাত্রী থাকতে হবে। ১৫০ জন বা এর অধিক শিক্ষার্থী থাকলেই শুধু শিফট চালু থাকবে। এ নীতিমালা জারির পর কোনো প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় শিফট খোলা যাবে না। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদিত মূল ক্যাম্পাস ছাড়া অন্য কোথাও ক্যাম্পাস বা ব্রাঞ্চ খুলতে পারবে না।
 
প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়(৬ষ্ঠ-১০ম)   অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা/বিষয়/বিভাগ খোলার শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে নবম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা খোলার জন্য প্রতি বিভাগে ২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। এর অধিক হলে পরবর্তী ৪০ জনের জন্য ২ য় শাখা খোলা যাবে। তৃতীয় ও পরবর্তী প্রতিটি শাখার জন্য পূর্ববর্তী শাখায় ৫০ জন পূর্ণ হতে হবে। প্রতি শাখার জন্য ১ জন হিসেবে গণনাপূর্বক শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তবে অনুমোদিত শ্রেণি শাখায় নিম্মোক্ত বিষয়ক্রম অনুসরণ করে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। বিষয়গুলো হলো ইংরেজি,বাংলা,গণিত,সামাজিক বিজ্ঞান,ভৌত বিজ্ঞান,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি,ধর্ম, কৃষি/গার্হস্থ্য। তবে পূর্বের অনুমোদিত শাখায় কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী না থাকলে বা শাখা চালু না থাকলে  উক্ত শাখায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যাবে না।
 
কোনো প্রতিষ্ঠানে জনবল কাঠামোর অতিরিক্ত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করলে বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধার শতভাগ (প্রতিষ্ঠানকে) পরিশোধ করতে হবে। ইনডেক্সধারী শিক্ষক-কর্মচারী অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলে তার পূর্ব অভিজ্ঞতা গণনাযোগ্য হবে। তবে যোগদানের আগের বকেয়া প্রাপ্য হবেন না। ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তাদের প্রথম নিয়োগকালীন শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রযোজ্য। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একাধিক পদে চাকরি বা আর্থিক লাভজনক পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনে শুধু একটি তৃতীয় বিভাগ/সমমান গ্রহণযোগ্য হবে। এ নীতিমালা জারির পর কেউ যদি বকেয়াপ্রাপ্য হন, সে ক্ষেত্রে তা পরিশোধ করা হবে না।শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মহিলা কোটা পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুসরণ করতে হবে।
 
আগামীকাল চতুর্থ পর্ব
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040850639343262