মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আইসিটি শিক্ষকের অভাব - Dainikshiksha

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আইসিটি শিক্ষকের অভাব

দৈনিক শিক্ষা ডেস্ক |

মাঝে-মধ্যে আমরা পত্র-পত্রিকায় কিছু অপ্রত্যাশিত খবর দেখিতে পাই। যেমন— ‘কম্পিউটার আছে কিন্তু শিক্ষক নাই’। আবার এমন খবরও পাওয়া যায়— ‘কম্পিউটার অপারেটরই আইসিটি শিক্ষক’। সবকথার সারকথা হইল, এইসব স্কুলে কম্পিউটার ভালমতো জানেন ও বোঝেন এমন দক্ষ ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নাই। সমপ্রতি বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্যসূত্র উল্লেখ করিয়া একটি সহযোগী দৈনিকের খবরে বলা হইয়াছে যে, আমাদের দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রহিয়াছে ১৯ হাজার ৮৪৮টি। তন্মধ্যে ১৫ হাজার ৬৩৪টি বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক রহিয়াছেন। অবশিষ্ট চার সহস্রাধিক বিদ্যালয়ে এখনও কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখা— এই তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে ৪৮ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নাই কম্পিউটার শিক্ষক। আর মাধ্যমিক ও স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখায় এই হার যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৯৮ ও ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

অবশ্য এই তথ্যের মাঝে কিছুটা ফাঁক আছে। যে-সকল বিদ্যালয়ে আইসিটি বা কম্পিউটার বিষয়ে স্থায়ী শিক্ষক নাই, সেখানকার কোনো কোনো বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক বা খণ্ডকালীন কম্পিউটার অপারেটর দিয়া আইসিটি বিষয়ে পাঠদান করা হইতেছে। ইহা দায়সারাভাবেই  যে করা হইতেছে, তাহাতে কোনো সন্দেহ নাই। আবার কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইসিটি বিষয়ের ক্লাস নিতেছেন বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকগণ। তাহাদের সরকারি উদ্যোগে এক বা দুই সপ্তাহের ট্রেনিং দেওয়া হইয়াছে বটে, কিন্তু এই ট্রেনিং পাইলেও তাহারা অষ্টম ও নবম শ্রেণির আইসিটি বিষয়টি পড়াইতে পারিতেছেন না। ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন এই বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জন করিতে পারিতেছে না, তেমনি ফলাফলের ক্ষেত্রেও তাহার নেতিবাচক প্রভাব পড়িতেছে। বিশেষ করিয়া এইবারের এইচএসসিসহ গত কয়েক বত্সরের এসএসসি ও এইচএসসির ফল বিশ্লেষণ করিলে দেখা যায়, আইসিটিতে ফেল করিবার হার বেশি। কেননা বাংলা, ইংরেজি, গণিত প্রভৃতি বিষয়ের শিক্ষকদের পক্ষে ভালোভাবে আইসিটি পাঠদান সম্ভব নহে। এইজন্য সকল স্কুলে আইসিটির জন্য বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া জরুরি।

দেশে দক্ষ মানবসম্পদ গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে সরকার ২০১৪ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে। এই বিষয়ে হাতেকলমে পাঠদানের জন্য অধিকাংশ বিদ্যালয়ে পৌঁছাইয়া দেওয়া হয় কম্পিউটার। বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে গঠন করা হয় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবও। এইসকল উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু এখনও সকল বিদ্যালয়ে আইসিটির শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়টি অসঙ্গতিপূর্ণ ও অনাকাঙ্ক্ষিত। যদিও ইহার হার খুব বেশি নহে, তথাপি বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এইজন্য যে, এমন একটি টেকনিক্যাল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে হইলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রিধারী এবং দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কোনো বিকল্প নাই। তাহাছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি দেশের অসীম সম্ভাবনাময় ও ক্রমবিকাশমান একটি খাত। আগামীর দক্ষ ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল পাইতেই মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে ইহার শিখন-পাঠনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

 

সৌজন্যে: ইত্তেফাক

ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা - dainik shiksha ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ - dainik shiksha কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035481452941895