বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল, ঊনবিংশ শতাব্দী সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম সাহিত্যিক, কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধুর’ রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১৭১তম জন্মবার্ষিকী আজ ১৩ নভেম্বর।
মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা লাহিনীপাড়া গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। পদমদীতে তাকে সমাহিত করা হয়। সাহিত্যে ক্ষেত্রে মীর মশাররফ হোসেন উজ্জল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক ৩৭টি বই রচনা করেছেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন।
মীর মশাররফ হোসেনের রচনা সমগ্রহের মধ্যে রত্নাবতী, গৌরি সেতু, বসন্ত কুমারী, জমিদার দর্পন, সংগীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদিনার গৌরব, বিষাদ সিন্ধু, গো-জীবন, বেহুলা গীতাভিনয়, গাজী মিয়ার বোস্তানী, মৌলুদ শরীফ, মুসলমানের বাঙ্গালা শিক্ষা, বিবি খোদেজার বিবাহ, হযরত ওমরের ধর্মজীবন লাভ, হযরত বেলালের জীবনী, হযরত আমীর হামজার ধর্ম জীবন লাভ, মোসলেম বীরত্ব, এসলামের জয়, আমার জীবনী, বাজিমাত, হযরত ইউসোফ, খোতবা বা ঈদুল ফিতর, বিবি কুলসুম, ভাই ভাই এইতো চাই, ফাস কাগজ, একি!, টালা অভিনয়, পঞ্চনারী, প্রেম পারিজাত, বাধাখাতা, নিয়তী কি অবনতি, তহমিনা, গাজী মিয়ার গুলি ও বৃহৎ হীরক খনি সহ উল্লেখযোগ্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা জানান, মঙ্গলবার সকালে মীর মশাররফ হোসেনের ১৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মীরের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর পদমদীস্থ মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রে উদ্বোধন অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি।