মুক্তিযোদ্ধার লেখা সেই চিঠির তদন্ত চান তৃতীয় স্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

মুক্তিযোদ্ধার লেখা সেই চিঠির তদন্ত চান তৃতীয় স্ত্রী

দিনাজপুর প্রতিনিধি |

রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করে লেখা দিনাজপুরের মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের সেই চিঠির তদন্ত দাবি করেছেন তার তৃতীয় স্ত্রী মর্জিনা বেগম।

একই সঙ্গে তিনি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে সরকারি সুবিধা পাওয়ার অধিকারী বলে দাবি করেছেন।

সোমবার দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা ডাকবাংলোর একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তেব্যে তিনি এই দাবি জানান।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২১ অক্টোবর ইসমাইল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনিই তাকে দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

“হাসপাতালে তিনি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তার চিঠি লেখার স্মৃতিশক্তি ছিল না। ২৩ অক্টোবর তিনি আমারই কোলে মাথা রেখে মৃত্যু বরণ করেন। যে চিঠি নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে তা সত্য নয়। আমি সঠিক তদন্ত চাই।”

তিনি মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইলের সঙ্গে প্রায় ২৫ বছর ধরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংসার করেছেন জানিয়ে বলেন, “এই হাসপাতালে চিকিৎসার সময় আমি ও আমাদের ছোট ছেলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার সঙ্গে ছিলাম।

“ইসমাইল হোসেনের লেখা চিঠি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। মৃত্যুর পর আমাদের মতামত উপেক্ষা করে তার প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা এক প্রকার জোর করেই আমার স্মামীর মৃতদেহ তাদের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার জুগিবাড়ি নিয়ে যান। যে চিঠির কারণে আমার স্বামীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে সেই চিঠির সত্যতা তদন্তের দাবি করছি।”

তিনি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর আমি দুই সন্তানকে নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাকে দেখার কেউ নেই কিংবা আমার কেউ খোঁজখবর নিতেও আসে নাই।

“আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারের প্রতি আকুল আবেদন করছি, আমার দুই শিশুসন্তানকে যেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।”

এ সময় দশম ও সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছেলে তার সঙ্গে ছিলেন।

এদিকে মর্জিনার দাবি সম্পর্কে মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের প্রথম স্ত্রীর ছেলে নূর ইসলাম বলেন, “তিনি (মর্জিনা) চিঠির বিষয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন। আমি আমার বাবার কথামত চিঠি লিখেছি। তিনি সেটা পড়ে স্বাক্ষর করেছেন।”

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003399133682251