মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিয়ে কুৎসিত ভাষায় বিদ্রুপকারী পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দুই সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। কোনও ধরণের শাস্তি না দিয়ে শুধু লোকদেখানে বদলির সুপারিশ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নিলেও মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন বদলি চাকরির অংশ। বদলি কোনো শাস্তি নয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইনডাকশন প্রশিক্ষণকালীন জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাসান আলী ও কামরুজ্জামান খাজা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে প্রশিক্ষণ রুমে প্রবেশ করে প্রশিক্ষণার্থী মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কুৎসিত ভাষায় বিদ্রুপ করেন।
এতে শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ ছাড়াও ওই শিক্ষা অফিসারদের বিরুদ্ধে উপজেলার সব মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে শাস্তি দাবি করলে উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার শুধু বদলির সুপারিশ করে। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার হাসান আলী অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করুন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুম মুনিরা জানান, অফিসার ও শিক্ষকদের মধ্যে একটু ভুল বোঝা-বুঝি হয়েছে। সমাধানের জন্য বসা হয়েছে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সমঝোতা করা হবে।